ভোটে যখন আসন শূন্য : শৌভিক ঘোষ
জব্বর ব্যাপার! জনগণকে আর নতুন করে আপনার একটি ভোট’র নাম দিয়ে সস্তায় নেশাগ্রস্থ করা যাচ্ছেনা! তাই বাজারে আফিমের (পড়ুন ধর্মের) আমদানি করা হল। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতায় অনেকটাই শর্তাধীন হয়ে গেছেন এতদিনে – আপাতভাবে হলেও মেনে নিয়েছেন খুব বেশি হলে এর জুতো পেটা খাওয়ার বদলে ওর জুতো পেটা খাব এরকমই একটা ব্যবস্থার নাম নির্বাচন। মজাটা হলো আপনি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ মানুন আর না মানুন (আসলে জানুন বা না জানুন) সত্য সবসময়ই বস্তুগত। মানে জুতো পেটা যতদিন চলবে তার প্রতিস্পর্ধায় চড় মারাটাও থাকে – থেকে যায়। নিজেদের সামাজিক অবস্থানের সুবিধা ভোগ করার কারণেই এটা চাবুক হাতে শাসক- মজদুরি চুরি করা শোষক আর ঘাম রক্তের চোষকরা অনেক বেশি ভালো বোঝে তাই ভোট যতই একপেশে ব্যবস্থা হোক না কেন – ব্যাপারটা সংগঠিত হবার সময় সব শাসকেরই বুক কাঁপে – মাথার ভিতরটা টলে ওঠে। এই অন্যায্য, বিভক্ত সমাজব্যবস্থায় ভোট যতটা শাসকের কাছে নিজেকে লুকিয়ে ফেলার কৌশল ততটাই জনগণের কাছে ব্যবস্থা বদলের হাতিয়ার হয়ে ওঠেই… এখনও।
যতদিন শাসক ভোটকে নিজেদের দিকে ঝোল টানতে কব্জা করতে চেষ্টা করবে ততদিনই জনগণ এই নেতিবাচক ব্যবস্থার পাল্টায় না বলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করবেন, দুটো না মিলে একটা হ্যাঁ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে হ্যাঁ, এটা মনে রাখতেই হবে যে ঘটনাটা নিজে থেকে হয় না, সংগঠিত করতে হয় (টেকো রাশিয়ান সাহেব এটাকে দুর্দান্ত ব্যাখ্যা করেছেন – আজকাল সবাই শিক্ষিত তাই সেকথা আর নতুন করে লিখলাম না), নিজের অভিজ্ঞতায় চিনে নিন – বুঝে নিন – যা হয়েছে – যা হচ্ছে, তাতে কার লাভ। কোনো নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো পড়ার প্রয়োজন হবে না, কোনো ভাষণ শোনার প্রয়োজন হবে না।
আজকের শাসক (তা সে যত ভোটেই জিতুক না কেন) নিজেই নিজের জালে জড়িয়ে গেছে – একদিকে মানুষ সবাই মিলে ভোট দিতে না গেলেও তার বিপদ, তাতে তার ব্যবস্থা অচল হয়ে যায় – আবার সবাই মিলে হৈ হৈ করে ভোট দিতে গেলেও ওদের হাঁড়ি ফেটে যায় কারন তখন প্রবণতা বিজ্ঞানের বারোটা বাজিয়ে জনতা জিতবে ওরা হারবে… যুদ্ধের নিয়ম এটাই – প্রতিপক্ষকে সেইখানে আঘাত করো যেটা তার প্রাচীরের সবচেয়ে দুর্বল দরজা। ওরা ফুটো দিয়ে জলটুকু গলতে দিতে ভয় পায় – তাই ওদের ভাসিয়ে দিতে তৈরি হতে হয়।
প্রথমে ওরা কম জানা – না জানা – জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে থাকতে রাজনীতি সন্পর্কে নির্লিপ্তি’কে হাতিয়ার করে নির্বাচনকেই একমাত্র সমাধান বুঝতে শেখায় – এখন সেই নির্বাচনটাকেই যাতে কোনোভাবে ওদেরই বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে কেউ না পারে তাই পুনরায় গুলিয়ে দিতে নিজেরাই অনেকগুলো দল পাকিয়ে A বলছে B চোর , B বলছে C চোর আবার C বলছে A চোর… জনগন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সবাই চোর – ফলে ব্যবস্থা পাল্টাচ্ছে না। এই যদি এবারের ফলাফলের সারাংশ না হয়, তবে আর কি! ওরা তো প্রতিবারেই রব তোলে, তুলবে “এবার কার সরকার?” আজ নাহোক কাল ওদের পাল্টা ভাবতে বাধ্য করতেই হবে “এবার কাদের সরকার ?” প্রত্যেকের একটাই ভোট কিন্তু সবাই মিলে এক হলে… ভাবার সময় আছে, এখনও আছে।
“আমি তৎক্ষণাৎ সেই বৃষ্টিতে পাগলার নিকট ছুটিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, ‘মেহের আলি, ক্যা ঝুট হ্যায় রে’ ?
সে আমার কথায় কোন উত্তর না করিয়া চতুর্দিকে ঘূর্ণমান মোহাবিষ্ট পক্ষীর ন্যায় চিৎকার করিতে করিতে বাড়ির চারিদিকে ঘুরিতে লাগিল – তফাৎ যাও, সব ঝুট হ্যায়, সব ঝুট হ্যায়”
২রা মে, ২০২১, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলছে সকাল থেকে। ইস্তানবুলের বিখ্যাত সড়ক গালিপ দেদে স্ট্রিটের (মির্জা গালিব ভেবে লাভ নেই, উনি কলকাতাতেই এসেছিলেন – ইস্তানবুল না) দুই কামরার ফ্ল্যাটে পাশ ফিরে শুয়ে টিভিতে সেই খবর দেখতে গিয়ে জানলাম শুধুমাত্র শিবপুরেই অন্তত ৩৫০০০ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে লাল ফৌজ গড়ে তোলা গেছে। আলবেনিয়া এবং কান্দাহারের দিক থেকে আরও কিছু আসছে সাইকেলে চড়ে… রাস্তা রুক্ষ বলে তারা টায়ারের উপরে কয়েকপ্রস্থ ট্যাঙ্কের চাকার বেড় পরানোর চেইন জড়িয়ে নিয়েছে যাতে হাওয়া ফেঁসে না যায়! সকালবেলায় মজুতবাহিনীর একপ্রস্থ কুচকাওয়াচ সেরে নেওয়া হয়েছে বীরেন্দ্র সেতু আর টালা ব্রিজের উপরে, তখনই উপর থেকে জাপানি উড়োজাহাজ বড় হরফের ইস্তেহার ছড়িয়ে দিয়ে জানিয়ে গেছে তারাও এইসব ঝুটঝামেলায় জড়াতে চেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আর্জি জানিয়েছে। গ্যাঁড়া মদনাগুলো হুট করে এসে জুটলে যেন আমরা আবার ঘাবড়ে না যাই… ওদিকে রানী রাসমণি চত্বরে হুল্লোড় তুলতে রিটায়ার্ড কর্মচারিদের আগে থাকতেই বলে দেওয়া ছিল – তারা জানিয়েছেন এই বয়সে দুমদাম কিছু একটা করে বসার আগে আরও একবার কোর কমিটির মিটিং করে নেবার সিদ্ধান্ত হওয়ায় তাদের হুজ্জুতি মুলতবি রাখা হচ্ছে – রিটায়ার্ড বলে আমরাও গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা প্রয়োগ করতে পারলাম না, হঠাৎ করেই টেলিগ্রাম এলো “কুছ পরোয়া নেহি, মাঞ্চুরিয়া হয়ে সিল্ক রুট পেরিয়ে রামকানাই না ঐরকম কি একটা নামের কে যেন একদল হোঁদল কুতকুত টাইপের কিছু ঘোড়সওয়ার জুটিয়ে হাতে টর্চ সহ এদিকেই আসছে – তারাই ব্যাপারটা সামলে দিতে পারবে”। খিদিরপুর ডকে একসপ্তাহ আগে থেকেই “নয়া অরোরা” জাহাজ এসে ভিড়েছে, সময় হলেই তাদের ইমেইল করা হবে পাড়ার সাইবার ক্যাফে থেকে ওয়াইফাই ধার নিয়ে।
কথা আছে ভিক্টোরিয়ার দিক থেকে কামান চালানো শুরু হবে, ঘাঁটি এলাকার তিনটে দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও পশ্চিমদিকের কমরেডরা কাউকে কিছু না জানিয়ে আবহাওয়া দপ্তরের ওপর ভরসা করে হেব্বি মোটাসোটা কুটকুটে চাদর, কম্বল আর এস্প্লানেডের ফুটপাথে সস্তায় গায়ে ছুঁড়ে মারা জ্যাকেট কিনে সেইসব গায়ে চাপিয়ে বসে থেকে এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পেট গরম হয়ে গিয়ে দিনরাত আদি গঙ্গার দিকে শুকনো মুখে গামছা পরে বসে আছেন – কারোর দিনে পাঁচবার তো কারোর তিনদিনেও কোনো সাড়াশব্দ নেই – ফলে ঐদিকটুকু অরক্ষিত রয়েই যাচ্ছে!
যাইহোক এভাবেই লুচ্চাদের আটকাতে আমরা নেমে পড়ছি কাল থেকে – যার আসার হয় আসবেন, যারা এখনো সর্ষের তেল পছন্দ করেন যেখানে ইচ্ছা গুঁজে পড়ে থাকুন – ওসব গণতান্ত্রিক ঢ্যামনামো আমরা আগেও অনেক দেখেছি।
কি বললেন? গানে, কবিতায়, নাটকে ফ্যাসিবাদ আটকানো যায় কিনা? তা দাদা ও দিদিরা আপনারাও তো নো ভোট টু ইয়ে’র নামে ভোট মারিয়ে দেশ পাল্টানো যায় ভেবেছিলেন! এখন তো হাত ছেড়ে এমনকি অস্থানে-কুস্থানেও হ্যারিকেন হয়ে গেছে! তবু বলি – এমন ভাবখানা করছেন যেন গান, কবিতা, নাটক এসব না করে যদি সত্যিই যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে দিতাম তখন বিনা প্যান্টেই বেল্ট বেঁধে চলে আসতেন! আসতেন নাকি? নাকি তখনও ঐসব… কি যেন? গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ … তাই না?
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে আমি দুপুরের দিকটায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম…
যেখানে চলতে-ফিরতে-ছুটতে-বড় হতে-প্রেমে পড়তে-আরও বড় হতে পরিচয়পত্রের পেঁয়াজি পাকাতে হয়না সেই দেশে (বৃহত্তর অর্থে দেশ না, অনেকটাই ছোট করে বাংলাকে নিজের দেশ বলে বোঝাতে চাইছি) নিয়ামক কে বা কারা হবেন সেই বাদ্যি বাজতেই চারিদিকে কেমন একটা গা ঘিন ঘিন করা নৈশব্ধ নেমে এল। যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মানেই আখেরে একটা নরকগভীর ষড়যন্ত্রের কর্মব্যস্ত চুপিসাড়। কথা ছিল মানুষ নিজের মতো করে বুঝে নেবেন – বেছে নেবেন যে কার ট্যাক্স চাপানো মেনে নেওয়া যায় – কার Sense Of Justice শেষ অবধি Mode of Equality অথবা Mode Of Equity কে ধারণ করে গড়ে উঠেছে।
ইদানিং (মানে শেষ দশ বছর) রাজ্যে ভোটপর্ব মিটলে তার পরের দুই-একদিন আর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবার পরে অন্তত একদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলি। এই সময়টা চারিদিকে বহুমেরুবিস্তৃত ভবিষ্যদৃশ্যক্ষম সর্ব্বোবিষয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞানসমৃদ্ধ বিশেষজ্ঞদের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয়। এইসব ন্যায়শাস্ত্রী পন্ডিতবর্গদের সাধারণ বৈশিষ্ট হল যেকোনো ব্যাপারেই সবকিছু বহু আগে থাকতেই তারা জানতেন, নানাবিধ প্রথাভূক্ত অথবা প্রচলন বহির্ভুর্ত পথে সকলকেই নিজেদের দিব্যদৃষ্ট প্রবচন শুনিয়ে ভয়ার্ত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন কেউই তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি অথচ আজ ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে তারা যা বলেছেন অথবা বলতে চেয়েছেন সবটাই মিলে গেছে – এতদ্বারা তাদের ঐশ্বরিক রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিযুক্ত বিচক্ষণতার শ্রেষ্টত্ব প্রমাণিত!
আমি পারতপক্ষে এদের এড়িয়ে চলি কিন্তু যেহেতু নিজ হস্তে নিজের কপালে “বিধি বাম” খোদাই করেছি তাই ফল ঘোষণার শেষে সামনাসামনি হতেই হয় – নানা ভাবে, নানা স্থানে। এমনিতেই জনসমক্ষে প্রথানির্দিষ্ট আচরণের ক্ষেত্রে আমার ব্যবহারগত ত্রুটিসমূহ এনাদের চর্চার বিষয় তার উপর নিজেদের দেশে বিপ্লববাদী রাজনৈতিক শক্তির বিকাশে আশু ও দূরবর্তী রণকৌশল সংক্রান্ত এদের আলোচনায় নিজেকে কেমন যেন দাঁড়কাক মনে হয় – খুব কষ্টে হাসি চেপে রেখে গম্ভীর থাকতে গিয়ে পেট ফুলে ওঠে এবং বারে বারে পেচ্ছাপ পায়… কোনো যুক্তিকেই এনারা গুরুত্ব দিতে আগাগোড়া নারাজ। এদের আলোচনার গতিপথ একেবারেই অনন্য – “ওরা করছে অথচ আমরা করতে পারলাম না…”, “তোমরা বেশি বুঝে গেছো…”, “সে একসময় ছিল – কত কিছুই না করেছি, শেষে পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে হোলটাইমারটা হতে পারলাম না…”…… এবং সবশেষে “লিখে রাখো, আমি বলে যাচ্ছি – পরের বার এর চেয়েও খারাপ হবে” !!!!
এইসব প্রবচনের মাঝে হয়তো কয়েকবার “ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে আরো স্পষ্ট অবস্থান জরুরি…”, “লোকজন কমিউনিজম বোঝেনা সেটাই স্বাভাবিক, তাদের সেটা বোঝানোই শেষ অবধি আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব…”, “মার্ক্সবাদ হাতগণনার বিদ্যা নয়, আগে থাকতে সবটা বুঝে ওঠা যায় না কিন্তু লড়াইটা সঠিক রাস্তায় দাঁতে দাঁত চেপেই লড়তে হয়…”, “মার্ক্স্ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ….”, “এঙ্গেলসের তো লেখায় আছে এই নিয়ে …”, “লেনিন বারে বারে সতর্ক করে লিখে গেছেন…”, “স্তালিন তো এই নিয়েই লড়ে গেছেন বরাবর…”, “আরে এটা তো জর্জি দিমিত্রভের বক্তব্য…”, ….অথবা আলোচনার একেবারে শেষের দিকে এসে মুখে ফেনা তুলে “মাও সে তুং কে ওরা লোকের মনে ভয় জাগাতে ব্যবহার করে, আমাদের কাজ তার চিন্তাধারাকে এদেশের…”, “শেষবধি চে কি তাহলে আঁটিই বাঁধলেন…”, “হো চি মিনের তাহলে সবটাই বাড়াবাড়ি …”, “ফিদেল স্তালিনের সমালোচনা করেছেন তার মানে স্তালিনের সবটাই ভুল আবার ফিদেলও পরীক্ষায় গ পেলেন?
এসব বলার পরে শুনতে প্রস্তুত থাকি “এতো বকবক করোনা বুঝলে! আজ যদি অমুক, অমুক এবং অমুক বেঁচে থাকতেন তাহলে সেবারের সেই মহাস্খলন হতো না! এই অবস্থা হতো না!”…
এইভাবেই এনারা রয়ে গেছেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি দাঁত-নখকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদের আগ্রাসী আক্রমণের সামনে জনগণকে অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক দিক থেকে অন্ধ-পঙ্গু করে তুলে এবং তাতেও নিশ্চিত না হতে পেরে দালাল পল্টনদের দিয়ে সমাধানের নামে ধর্ম-জাত-ভাষার প্রশ্নে মানুষকে গুলিয়ে দিয়ে নিজেদের মধ্যেই লড়িয়ে দিতে সফল একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে সংগঠিত নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের দিকে সমর্থনের ব্যাপারটা কোনোদিন একবার ৫% এর তলায় চলে গেলেই এনারাও চলেই যাবেন। এবার মনে হয় সেই আশা পূরণ হল বলে!
তবু সতর্ক থাকা ভালো – হঠাৎ করেই যদি সামনের বারে কিছু একটা হয়ে যায় – বলা তো যায়না!
[লেখক – সিপিআই(এম) দলের রাজ্য ওয়েবসাইটে কর্মরত ওয়েজ প্রাপ্ত কর্মী। প্রাক্তন আইপিটিএ কর্মী। নাটক লেখা, নির্দেশনা এবং প্রবন্ধ লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।]
Posted in: ARTICLE, May 2021 - Cover Story