ভ্র ম / মো র : সৌগত বালী
সেদিন মেট্রোর কামরায় হঠাৎ দেখা
ভাবিনি দেজাভু হবে কোনোদিন
আগে ওকে বার বার দেখেছি
মলে মলে রাজারহাটের এলোমেলো বৈশাখি
ওর জেল্লাদার স্কিনে যেন শালবনি রঙ ।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।।।
।।
।
।।।।।।।।।।।।। ।।।।।।।
পরের স্টপেজ রবীন্দ্রসদন মেয়েটি নেমে গেলেন
রবি চললেম একা ।।।
##
মেয়েটি মেঘবতী কিউমুলাস বাড়ি ফেরে।
প্রতিরাত রবিঠাকুরের আত্মহত্যা সিলিং ফ্যান বেয়ে ঝুলে পড়ে। হরিপদর ভালো লাগে না, এই যে ঝুলে আছো অর্গাস হয়ে হাজার চোখে ছত্রপতির ছাতা খোঁজার টিকটিক এসব কি ভালো? রবিঠাকুর নেমে আসেন ডেক্সটপে আন্না তরখার এখনো ঘুমন্ত গ্লাব্স খুলে।।। তুমি কাপুরুষ … হরিপদ গলি পেরিয়ে রাস্তায় নেতাই কাণ্ড লঙ্কা কাণ্ড পেরিয়ে রামায়ণ, ধলেশ্বরী নদী তীরে পিসিদের গ্রাম মেয়েটা ফেসবুকে চিটার বলে খিস্তি করে, হরিপদ তবুও ফিউজিটিভ।। চারিদিক দেখো রবিঠাকুর তুমিতো বলাকা উড়িয়েছিলে মুক্তবন্ধে আজ বন্দিমুক্তি কমিটি।।।।
আকাশ আকাশ বড় গাভীর মেঘ রাজত্ব টিপ টিপ জমে উঠছে আলোকিত বারান্দায় হরিপদ ছাতাটা গুটিয়ে স্বপ্নে…স্বর্গরাজ্যে খেলা চলছে ÷×+ লুকোচুরি $$$£₩
নিউটন একটা চতুর ভুজে দাঁড়িয়ে,আইনস্টাইন।।।।।। ধাপ্পা ।
নিউটন হাসে , “ আমি নিউটন নই দেখ আমি স্কোয়ারে আছি । জানো তো
১ নিউটন পার মিটার স্কোয়ার সমান এক পাস্কেল। আমি পাস্কেলের মধ্যে লুকিয়ে পড়েছি তুমি আমাকে খুঁজেই পাওনি। “
হোয়াতে মেঘবতী জোকসটা বোঝে। এবরং নিখিলেশ জীবন। নিখিলেশ বোয়েমের মধ্যে ছাড়ে, মাছ তার মৎসাবতার পরিক্রমণ করে ফিরে আসবে হাতের তালুতে এই প্রেম …
সন্দীপ ট্রাম রাস্তা ছেড়ে ফুট। ও এখন পুলিশে স্বদিশি, অথচ নিটসের ইচ্ছাশক্তি কী প্রবল ফলত তত্ত্ব ও জীবন আলাদা। যা বলে তা নয় বা মেঘ রাজত্বে গ্রীবা উঁচু শ্রাবস্তীময় মমতা গ্রীবা তুলে মাটি ও মানুষের সম্ভাব্যতার অঙ্ক কিম্বা কৃষি ও কারখানার সংক্রান্ত বুদ্ধি বা বুদ্ধাঙ্ক ব্যর্থ …
মেঘবতী অরণ্য ক্রোধ বোঝ! এই যে ডাইনিং প্লেস বাড়াতে গিয়ে জঙ্গল সাফ সাফান্ত হচ্ছে … অরণ্য কাউকে ছাড়েনি কখনো, অরণ্য তলে তলে বাড়ে, শরীরে অবাঞ্ছিত জঙ্গল বেড়ে উঠতে থাকে মেঘবতী টের পায় আয়নায় দাড়ির আভা। মেঘ ওয়াক্স করে তবু তো জঙ্গল।।। ছাপিয়ে যায়। প্রবল গতি। রবি ঠাকুর বলাকা উড়েছিলে তোমার স্থিতি জাড্য কাটাতে আর বার্গসঁও বগল দাবা করে ইলান ভাইটান নিয়ে দে ছুট। নিখিলেশ বুঝতে পারে জঙ্গল একটা নিয়তি। গতি সভ্যতাকে অরণ্য গ্রাস করছে। অসংখ্য ডালপালা গজিয়ে উঠছে সেরিব্রালে। মাও, জনযুদ্ধ বলে গহীন শাখা প্রশাখায় বুড়ো বটের পাতায় রক্তের দাগ। রক্তও একটা গতি জাড্য। মাংসাশীকে আরেক ননভেজিটেরিয়ান ঝেড়ে দিচ্ছে অভিষেক লগ্নেই।
রবি ঠাকুর ফাঁসির মঞ্চ থেকে আবার নেমে এলেন। হরিপদ দেওয়াল জুড়ে টিকটিকি। এই পাখিদের পরিযায়ী পনা আমার জন্য নয়।।। মেঘদূতে আষাঢ়ের নিম্বাস মেঘের স্তব্ধতা ভেঙে উড়েছিল বলাকা, বলাকার গতি চিরন্তন। হরিপদ ছেঁড়া ছাতার ফাঁক দিয়ে ধলেশ্বরী নদী। মেয়েটা অবচেতনে সিঁদুর চড়ায়, মেয়েটা নিজেই ধলেশ্বরী।।। হরিপদ বোঝে নি, ইড, ইগো, সুপার ইগো লড়তে লড়তে হরিপদ অন্তস্ব্ত্ত্বা, নিউটন লুকিয়ে পড়ছে। মেয়ে , ছেলে , গে ,লেসবি = 0 ।।।।
হরিপদ বুঝতে পারছে নারী পুরুষ হিসেবে নয় মানুষের সন্তান ধারণ ঋকবৈদিক যেখানে প্রবল মেঘ, মেঘবতী গাল ভর্তি জঙ্গলে হাত বোলায়, চিলে কোঠার অন্ধকারে রবি ঠাকুর আর সে বেশ দুজনে হাতড়ানো আঁধারে দেখে পরের স্টপেজ…
আমেরিকার কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ড: পল গ্রাব একটা ছেলের মাথার মধ্যে থেকে উদ্ধার করলেন একটা আস্ত পায়ের পাতা। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে পা — পদক্ষেপ। আর ওয়ার্ড ওয়ার্থ গভীর অরণ্য থেকে দেখে পবিত্র আলো। স্বর্গীয়। আব্রাহাম এর লাঠিটা ছিল জমি দখলের। যেখানে চাষবাসে ইচ্ছুক অনিচ্ছুক আইনি জালে মাকড়সা মানুষ কথা না রাখার এলিজি মমতা হীন কারখানা। এই যে সুজিত মানস বা রবীন্দ্রনাথ সবাই বা আমি একইভাবে পা হীন অথচ আমাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ ধনতান্ত্রিক। বেনোজল বইছে দরজায় পা রাখতে দ্বিধা অষ্টবক্রর নর্দমার পাঁক গুয়ে পোকা পোলিশড রাস্তায় স্বাধীনতা। একটা ভেপার বাতিস্তম্ভ চাঁদ ছাড়ানো আলোয় অষ্টবক্র ছায়াপথ। ম্লেচ্ছ ভাসা ভাসা পথে তারও সুদীর্ঘ ছায়া, ছায়াছবি।
রবীন্দ্রনাথ একটা ফোটোজিনিক ধমনী, দীঘল দুপুরে রাধাচূড়া তলা। সারা আকাশ জুড়ে সান গ্লাস বর্ষা। হলুদ ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তা। লাবণ্য একটা দিঘি। অমিত আরও ধুরন্ধর নিবারণ সেজে লিটিল ম্যাগাজিন মেলা নন্দন ম্যাক্সমুলার ভবন সিমা আর্ট।।।
মেঘবতীর জানলা পারথেনিয়াম চারা। এই গাছটার বাংলা নাম জয়দ্রথ। সন্দীপ পা ছড়িয়ে দেয় পার্থেনিয়াম পর্যাপ্ত ভবিষ্যত নিয়ে দু ফাঁক। অমিত রাস্তায় পিঠে ফিডব্যাগ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রান্ত জল বা সংক্রামক ওয়াটার পিউরি নিয়ে কাঁচা পয়সার ঘরে ঘরে। ত্রিস্তর লৌহ নিবারণ বাতিটি। মূলত ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড ও ক্যালসিয়াম কার্বোনেড ও দানা কার্বনের পরিশোধক। আর তিন দশমিক চার সাত ইনসেনসিটির আলট্রা রশ্মি এছাড়া রিভার্স অসমোসিস জল ছড়িয়ে জলের অধিকাংশ খনিজ সম্পদ। সম্পদ হীন জং কণ্ঠে ধারণ করল লাবণ্য। অমিত হলুদ রাস্তা ধরে “বন্যা”। টি. ডি. এস ষোল অথচ লাবণ্যর বয়স বাড়ছে…
কিটি আপাতত একটি রাসায়নিক কারখানার মালিক। নিখিলেশ একটা বুর্জোয়া বাউল। বিলাসী পায়রার ডানায় ভারত পেট্রোলিয়াম। রাসায়নিক বর্জ্য জমছে একটি শাহরিক দিঘিতে। মেঘবতী উদোম স্নানরত।।। শাহরিক দিঘির জলে অবিরাম বিভাজিকা… সিঁড়িতে উঠতে উঠতে থমকে গেল মেঘ, বোঁটা ফেটে বুকময় রক্ত, স্রোত যেন নদী।। শরীরের মধ্যে রেডিয়াম ঘুষে গেছে মেঘবতী। আই সি ইউ তে ঢুকছে মেঘ ও তার ঝাপসা কাচের জানলা।।।। এসব পরিবর্তনের রাজ্যেও কেউ শিল্প আনতে পারলেন না।।
আলোকিত সত্যের মুখোমুখি হওয়ার আগেই শিল্পী মাল হয়ে যায় চরিত্ররা উপন্যাস বা ছোটগল্পের মধ্যেও গুচ্ছমূল ভাবনা।।। সবাই জমি হীন ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক।
অষ্ট বক্র প্রেসক্রাইব সার্ধশত হাজার টাকার খেসারত দিয়ে আপাতত বাড়ি। অষ্ট বক্র জানে এই প্রাগাধুনিক কিনু গোয়ালার গলি বা শেক্সপিয়র সরণি; কোনো প্রতিবেশিই নাক গলাবে না কারণ কারখানা। রাসায়নিক কিটির ভবিষ্যৎ অন্নবস্ত্র মানুষ লক্ষাধিক = ক্রীতদাস। সুতরাং পরিবেশ বিদ্যায় মৃত্যু ময় মেঘবতী বা ধলেশ্বরী নদী অপ্রয়োজনীয়। অ#সময় বড়ো স্বার্থপর নিজস্ব ধান্দায় গতিময় হওয়া বা প্রতিবাদ সমান্তরাল আরেক সত্যিকে তুলে ধরলে গিলেটিন। মেঘবতীর ছড়ানো মৃত্যু কালো হাইওয়ে অথবা নিছক লেখালিখি। লেখা মধ্যে জমে থাকা প্রিপ্ল্যানড মালিকানা বা লোডেড দাসত্ব।।। অসহনীয় তবু গুনে গুনে বাংলা সাহিত্যে লেখা গড়ে উঠছে দাস কলোনি, সেখানে ধনতান্ত্রিক শিল্পী টাটা গোয়েঙ্কা বা রবীন্দ্রনাথ = শিল্পীমাল বা ক্যাপিটালিস্ট। ধূপ ঘ্রাণ ছড়িয়ে যাচ্ছে গলি, হরিপদ সরাস দশা ছেড়ে এখন অন্য বেবুশ্যের হাতে, গতি বিধি পাল্টে যাচ্ছে… লোকাল ট্রেনের জানলায় হঠাৎ দেখা ভাবিনি সম্ভব হবে কোনোদিন।।। পরের স্টপেজ শান্তিনিকেতন, রবীন্দ্রনাথ নেমে গেলেন একা। সন্দীপ হরিপদ এবং এবং চরিত্ররা নিজস্ব ঠিকানা, লাবণ্য, কিটি, অমিত, নিখিলেশ, বিমলা, অথবা সরণ।।।।।।