শানু চৌধুরী-র কবিতা
থাড়ু কবিতা
★
কর্মযোগের আগে গর্বিত হয়ো না
গড়িয়ে যাওয়া দ্রুতির অরণ্য,
আমি তোমাদের ভিতর চমৎকার দেখেছি
আসলে চমৎকার বলে কিছু নেই
মানুষ যা ভাবতে পারে না,
তাকে চমৎকার বলে ডাকে
জেনো,
পুনর্জন্মের আগে মৃত্যুর, অজস্র মৃত্যুর যাতায়াত
ডানা ঝাপটায় অপরিণত শাবকের বুকে
অজানা বৃক্ষের ফল ছড়িয়ে যায় ব্যর্থতার ভিতরে
শিহরিত হই। প্রদক্ষিণ করি জীব হতে হতে…
অথচ সুরগুলি ভেঙে যায়
সামান্য টিকার আগে
★
শিসের আগে ফেটে যাচ্ছে ব্রণর বিকেল,
সৈকতের দিনলিপি নিয়ে চলে এসেছি কুঁড়ির উপদেশে।
গোল হাওয়ায়, বিমুখ হওয়া মানুষ, দেখে নাও গোলকের শেষ নির্যাতিত দরবার।
তবু স্থাপত্য বলতে বুঝি পাথর। ভাস্কর্য বলতে, হাতের রেখা!
কেন টানটান হয়ে চলো প্রশস্তির দিকে?
ঘন হলে সুখ থাকে না। বিবাদের বুকে
দাগ কেটে যায় শিশিরের আপামর গর্তগুলো।
শাল্মলীর কিছু ছায়া আলগা হয়,এই তদগত ভূমিরূপ ছেড়ে।
আর জখমের প্রলেপে মেপে দেয় কেউ
আয়ুর বিষন্ন ওষুধ।
★
আকাশের ঘোর কেটে গেলে, আমরা খুঁজে নিই অঘোরের উপমা।
দেবযান নিয়ন্ত্রিত কুয়াশার সকাল,আমরা কি দেখেছি আয়ুশ থেকে ছুটে যাওয়া পার্থিব প্রত্যঙ্গের ভার!
জানি,
প্রবাহের দিকে, আমাদের নিঃসংকোচের ঘরবাড়ি আশ্বাস দেয়, প্রক্ষোভ ও বাতাসের প্রতিমায়।
এই পিতল! জরাজীর্ণ পশুদের মুখ ছড়িয়ে যাচ্ছে
ঘাসজমির বুকে দূর থেকে উসকে যাচ্ছে অনাথ উনুনের ধোঁয়া।
কে ছুটে যায়? তীব্র জাফরির না আসা আলোয়?
যেখানে,বয়স্ক বিবাহের মতো,আমাদের ঘুম খুলে যায় প্রভাবিত নিষ্ঠায়…