নিলয় সমীরণ নন্দী-র কবিতা
বুককথা
১.
অভিমানের আগাপাশতলা শুইয়ে রেখেছি সামনে
তুমি পাপোষ ভেবে শহর মেলে ধরলে, আমি বাদামী
তরমুজ বাগান ভোরে দিলাম তোমার কোমরের নীচ পর্যন্ত
তোমার সোনাকাঠি প্রগলভ হয়ে উঠতে পারলো কই
তোমার উড়ো জাহাজ চেপে রসাতলে যাবো
তাই পৃথিবীর সমস্ত দুধ বৃন্তের আদিম দুপুর জুরে
তোমাকে খাওয়ার আয়োজনে জানালা বুনে রেখেছি
আমি খুব কষ্টে আছি সোনা, তোমাকে দেখাবো একদিন
যেদিন ভুলে যাওয়া বাড়ির ছাদে আমি ফুরিয়ে যাবো
আর তুমি স্নান সেরে উঠে এক থালা ভাত খেতে বসবে
২.
এই যে আমি বললাম, আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে
আমার বুকটা নিংড়ে নিংড়ে শেষ করে দাও
যদি সত্যি জানতে আমিও তোমার বুকের ভিতরটা বুঝি
তুমি তোমার দীঘল বুক পেতে ধরতে
আমরা একদিন গান হয়ে উঠবো
সিনেমা না, কবিতা না, আস্ত কতগুলো গান
সারারাত জ্যোৎস্নার মতো লোকের মুখে মুখে ফিরবো
ভোরের দিকে মদ উপচে গানের কথা ভুলে যাবে সবাই
আমাদের কষ্টগুলোকে সুর করে নিয়ে গুনগুন করবে তখন
সমস্ত দিন ভুতগ্রস্থের মতো এই বিষাদ পৃথিবী আমাদের মনে রেখে দেবে