গোবিন্দ সরকার-এর কবিতা
পথ
ভ্যাবাচ্যাকার প্রয়োজন নেই অর্বাচীন
খুব বেশি না জানলে রংরুটে পা নয়।
বিধবার সিঁথির মত পথ ধরে ফিনিক্স পাখিরা উড়ে যায়
সার সার ওক গাছ অসার হয়ে শরীর পেতে দেয়
পথের ধারে দু-চারটে বনফুলের ট্রাফিক হয়ে থাকা
নিরিবিলি কিছু নেই, দৃশ্যত নীলঠিকানা এক
পাথারময় খেত আর আস্ত খামারের রেশ।
হেঁটে যেতে যেতে বিভ্রাট চোখে দেখি শুকতারার অবস্থান
হারিয়ে ফেলেনি পথ কিংবা পথেই হারিয়ে যায়নিতো!
একদিন যে পথে শুনেছিলাম রামপ্রসাদী গান।
টাঙ্গন
ভুলো মন উড়ো হলে কোন এক সন্ধ্যার আড্ডায়
টাঙ্গনের ধার ধরে পায়চারি। আর দুব্বাঘাস
নরম ফ্লেভার মেখে দেবে শুভ্র পায়ের পাতায়।
গুটি গুটি পায়ে জ্যোৎস্না চিবিয়ে বেহাগ উচ্ছাস
আর খিলি খিলি জ্যোৎস্নারা খেলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
রোমাঞ্চকর মুহুর্তে। অহেতুক খসে পড়ে তারা
দুলছে মন দুলছে তরী স্নিগ্ধ বায়ে গা ভাসিয়ে
ভারা চিত্ত করে নৃত্য বিষাদ তবু হয়নি হারা।
ডাকঘর ভাবনারা গোল্লাছুট দৌড়ে নিচ্ছে পিছু
কলুকলু স্রোতে প্রিয় টাঙ্গন ছুটছে অবিরত
জানি নদীর গরমের ছুটি বলে হয়না কিছু
বয়ে চলাই তার কাজ ঠিক যেন মায়ের মত।