আরিফুল হাসান-র কবিতা

নিজেতে আবির্ভাবের সময়

আমি আমার দুচোখকে প্রচণ্ড রকম বন্ধ রাখি। নিজের চোখে সেঁটে দেই ধারাপাত। আমি আমার অহংকারকে স্থাপন করছি নিয়ত লজ্জায়। আর আমি আমার প্রার্থণাগুলো সযত্নে রেখেছি, একান্ত শয্যায়।

আমি আমার মন্ত্রমুখ দুই নয়নের জলে ভাসিয়ে দিয়েছি। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে, পরাজিতের বিবর্ণ মুখ আর গোখরোর চপল লতা। কানের দুল, ফাগুন সব ভেসে গেছে যমুনার জলে, চপল করোনাকালে।

আর নিজেকে আবির্ভাবের সময় আমি দেখলাম আমার চোখগুলো উল্টে যাচ্ছে অবলীলায়, উল্টে যাচ্ছে নেমকহারামের মতো। আর আপন নিষ্ঠায় আমি ঠিক নিষ্পাপী হয়ে নরকে জ্বলি, মানবের ভূগর্ভস্থ অগ্নিকাণ্ডে।

একটি কবিতা আমাকে লিখে ফেললো

সমস্ত অশ্রদ্ধাগুলোকে পুড়িয়ে দেই। পোড়াই হিংসা বিদ্বেষ। রাগগুলোকে হনন করি। হননকারী আত্মাকে দেই নির্বাসন।

আমি পরনিন্দা ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম অনৈতিক কাম। আর মিথ্যে কথা বলা একেবারেই ছেড়ে দিলাম। ছেড়ে দিলাম পরস্পর শত্রুতা।

মনের ভেতরের কুটিলতাগুলো ত্যাগ করলাম। দুঃস্বপ্নগুলো ছু্ঁড়ে ফেললাম আস্তাকুঁড়ে। আর ছদ্মবেশটাকে পরিত্যাগ করে পরে নিলাম মানব মুকুট। আর তখনই একটি কবিতা আমাকে লিখে ফেললো।

Facebook Comments

Posted in: May 2021, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply