যুগলবন্দী :: তন্ময় কুমার মণ্ডল ও রাজশ্রী দত্ত

[শুধু শারীরিক নয়, এই মানসিক দূরত্বের সময় আমরা চেয়েছিলাম শিল্পীরা কাছাকাছি আসুক। তাই এই উদ্যোগ – যুগলবন্দী। আলাদা আলাদা মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীরা একজোট হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে কবিতা থেকে ছবি বা ছবি থেকে কবিতা। এ’ভাবেই এ’ আয়োজনে কবি তন্ময় কুমার মণ্ডল ও শিল্পী রাজশ্রী দত্ত।]


কবি পরিচিতি

তন্ময় কুমার মণ্ডল

প্রথম দশক। ১৯৮৪ সালে জন্ম, নিবাস বহরমপুর। পেশা শিক্ষকতা।

তন্ময় কুমার মণ্ডল-র কবিতা

১.

ঘোর কাটে না। দৌড় আর দৈর্ঘ্যের এই খেলা
লালা নিয়ে এসেছি। লীলাময়
দেখি অবিমিশ্র
অলাতচক্র কেঁপে ওঠে
ভয় ও ভ্রমণে শঙ্খ বাজায় কে
এতো ছিদ্র, এতো পোকা
দেহের রাস্তা খোলা আছে আর ঘুম
আর ওঠা পর্যন্ত নখ, ময়লা পরিস্কারের কাঠি হাতে তুলে যুদ্ধ শিখছি
মায়াময়। কত ক্লান্তি আর
কত সমুদ্র পেরোতে হবে। এ আনুনাসিক বন্ধ হয় না
শুধু ঘিরে ধরে

২.

ছল করো। এ চলাচল অনুসৃত
কে ভাঙছে
আনত জন্ম ও ফুল
গতিহীন কে গো এসেছ কাল
গমগম করো অথচ নিশ্ছিদ্র নও
বয়ে চলা এ সমস্ত কী তোমারই রচনা

৩.

বিয়োগে দেখেছি। টানা প্রাচীরের শব্দ হয়
ভাবি ঘুম। রূপের উপর রূপ চাপিয়ে অরূপ করো

এই তো শেকড়ের মাটি, এই বোঁটাবৃন্ত ছল
অকপট গোলোকধাঁধা প্রিয় করো
প্রিয় করো এঁকে

৪.

কার অপেক্ষা করি, মহানিমগাছ

বলি, পেতে রাখা দেহ
রেখায় রেখেছ

পাথর আর পাথরের ভর উল্টে আছে
এ পর্যন্ত চিৎকার
এ পর্যন্ত ধ্বংস
জন্ম ওঠে জন্মে ডোবে

৫.

মুদ্রা খোলা, তুমি
এসবের অংশ নও

ধরো এভাবে অংশ নিয়েছ
অকুল পাথার
ভাসছে

ডুব কী আছে কোথাও
রুমাল এনেছি এতদূর
জলপাত্র নেই

৬.

এসবের ফুলে
তুমি পোকা
বস্তুত আকার খাচ্ছ

খুব লোহা
ভাসছে

আর শব্দ হচ্ছে
আকাল আকাল


শিল্পী পরিচিতি

রাজশ্রী দত্ত

১৯৮৫ সালে জন্ম, নিবাস বহরমপুর। পেশা শিক্ষকতা। ছবি আঁকার প্যাশন দীর্ঘদিনের। মাঝে বিরতি ছিল। আবার ফিরছেন ছবিতে।

বড় ক’রে দেখার জন্য ছবিটিতে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply