যুগলবন্দী :: সাম্যব্রত জোয়ারদার ও পলাশ পাল

[শুধু শারীরিক নয়, এই মানসিক দূরত্বের সময় আমরা চেয়েছিলাম শিল্পীরা কাছাকাছি আসুক। তাই এই উদ্যোগ – যুগলবন্দী। আলাদা আলাদা মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীরা একজোট হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে কবিতা থেকে ছবি বা ছবি থেকে কবিতা। এ’ভাবেই এ’ আয়োজনে কবি সাম্যব্রত জোয়ারদার ও শিল্পী পলাশ পাল।]


কবি পরিচিতি

সাম্যব্রত জোয়ারদার

নব্বই দশকের উজ্জ্বল নাম এই কবির প্রথম কবিতার বই ‘পাখিদ্বীপ জাদুওয়ালা ও বন্ধুপদাবলী’। যদিও এটি তাঁর একক বই নয়, তিন বন্ধুর যৌথ প্রয়াস। এরপর কবির প্ৰকাশিত একক বই, ‘স্টাফ রিপোর্টারের ডায়রি’, পাঠকের কাছে বহুল প্রশংসিত। তারপর প্রকাশিত একাধিক কবিতার বই। শেষ প্রকাশিত বইটির নাম ‘লাল ইনতিফাদা’ যথারীতি কবির কাব্য প্রতিভার অন্যতম মাইলফলক। কবি সাম্যব্রত জোয়ারদার একজন বিখ্যাত সাংবাদিকও। দীর্ঘদিন টেলিভিশন মিডিয়ার কর্মরত গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন সাম্যব্রত’র ছবি আঁকার হাতটিও বেশ ভাল। তাঁর অন্যতম প্রিয় শখ ছবি আঁকা ও ক্যালিগ্রাফি। নানা সাহিত্যের নিবিষ্ট পাঠক সাম্যব্রত সব সময়ই কবিতার কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন, লেখাই তাঁর প্রকাশ।

উইথড্রয়াল সিনড্রোম

সাম্যব্রত জোয়ারদার

এই করতল বিকেল সোয়া পাঁচটার পর কাকে ন্যস্ত করি,
শুধু ভাবি নীরবে প্রত্যাবর্তন রেল বাজারের ভাঙা ঘড়ি
কথা বলতে চায় দিনে দুইবার— ফিরি করে ফুটিফাটা তাঁবু
করতল জ্বরে পোড়া তবু অসম্ভব লুকিয়ে রাখে প্রচুর
বালিয়াড়ি চিরে যাওয়া কণ্ঠনালি অন্ধ গলিপথ,
হে রক্তপাতের সুবিধাজনক রাত্রিজাল— রথ
চলেছ উন্মুক্ত কেশ সারাদিন বৈকল্য প্রলাপে
একঘেয়েমির মাথা যন্ত্রণা আর এক অসহ্য তাপে
এই করতল বিকেল সোয়া পাঁচটার পর সাদা ট্যাবলেটে
এয়ারস্ট্রিপের থেকে ডানা পাবে সার্কাসের আলোতে,
নক্ষত্র পালিশ করা কাচফুল ইনসেন গলে যাওয়া মোম
কথা বলতে চেয়েছিল একবার— উইথড্রয়াল সিনড্রোম


শিল্পী পরিচিতি

পলাশ পাল

পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কারিগরি শিক্ষা অনুমোদিত, একাডেমি অফ ক্রিয়েটিভ আর্ট এবং পরবর্তী সময়ে রাজ্য চারুকলা পরিষদ এবং বিড়লা একাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার থেকে পড়াশুনো করেছেন। দেশে বিদেশে প্রায় ১২৫ টি প্রদর্শনী করেছেন তিনি। ছবি আঁকার পাশাপাশি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী পলাশ একজন চিত্র পরিচালকও। তাঁর সাম্প্রতিক ছবির নাম ‘গ্লাস ওয়েভ’।

বড় ক’রে দেখার জন্য ছবিটিতে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply