যুগলবন্দী :: রাহুল পুরকায়স্থ ও হিরণ মিত্র

[শুধু শারীরিক নয়, এই মানসিক দূরত্বের সময় আমরা চেয়েছিলাম শিল্পীরা কাছাকাছি আসুক। তাই এই উদ্যোগ – যুগলবন্দী। আলাদা আলাদা মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীরা একজোট হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে কবিতা থেকে ছবি বা ছবি থেকে কবিতা। এ’ভাবেই এ’ আয়োজনে কবি রাহুল পুরকায়স্থ ও শিল্পী হিরণ মিত্র।]


কবি পরিচিতি

রাহুল পুরকায়স্থ

জন্ম ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৬৪ তে কলকাতায়। ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ তে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অন্ধকার, প্রিয় স্বরলিপি’ প্রকাশ পায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর থেকেই কবি রাহুল পুরকায়স্থ মগ্ন পাঠকের চর্চার বিষয় হয়ে ওঠেন। তারপর ক্রমান্বয়ে ‘শ্বাসাঘাত তাঁতকল পুরনো হরফ’, ‘একটি জটিল আয়ুরেখা’, ‘গোরস্থান রোড’, ‘আমার সামাজিক ভূমিকা’, ‘অবাকজান’, ‘আটটি জ্বলন্ত মুদ্রা’, ‘কলোনির কবিতা’, ‘নেশা এক প্রিয় ফল’, ‘ও তরঙ্গ লাফাও’, ‘শূন্যের কবিতাখানি’, ‘সামান্য এলিজি’, ‘নিদ্রিত দর্পণে যা দেখি’ প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর সাম্প্রতিকতম কাব্যগ্রন্থ ‘নিরীহ ভ্রমের দেশ’ (প্রকাশ : বইমেলা, ২০২০) । তাঁর বেশ কিছু কবিতা অনূদিত হয়েছে ইংরেজি ও হিন্দিতে দেশে ও দেশের বাইরে। কবিতার ভুবন পেরিয়ে গদ্যেও তিনি নিজের স্বকীয়তার প্রতিফলন রেখেছেন, তাঁর দুটি গদ্যগ্রন্থ যথাক্রমে ‘ময়দান ও পানশালা’ এবং ‘ভস্ম মাখি মাটিতে শুই’।
পেশায় তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী। সম্পাদনা করেছেন ভূমেন্দ্র গুহর কবিতা সংগ্রহ এবং বজ্রমাণিক দিয়ে গাঁথা রক্তাক্ত সত্তরের কবিতা-দলিল।
আনখশির কবি শ্রী পুরকায়স্থ ভালোবাসেন ভ্রমণ ও লোকগান। এছাড়াও প্রবল আগ্রহ দেশ বিদেশের সাহিত্য ও চিত্রকলায়।

জলে লেখা কবিতা

রাহুল পুরকায়স্থ

অলক্ষ্যে ঘুমিয়ে পড়ি

তমসার টিকটিকি খাদ্য খোঁজে ঘুমের ভিতর,
খুঁটে খায়,
এবড়োখেবড়ো রাস্তার কিনারে যে জলের কল,
হাত ভাঙা, হেলে পড়া ডানদিকে, তার মুখে
মুখ রাখে ঘুমের বাহন

অদৃশ্যে কিছুটা দেখি, অনর্থেও অর্থ খুঁজে যাই

বুঝি এই জটিলতা জীবনের সূচ-সুতো ছাড়া
                                    আর বেশি কিছু নয়

ঘুম ভাঙে দক্ষিণ দুয়ারে,
উড়ে আসে দ্রাক্ষাভস্ম, ভয়।


শিল্পী পরিচিতি

হিরণ মিত্র

খড়গপুরে পৈতৃক বাড়ি শিল্পীর। তারপর গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটে পড়াশোনা। শুরু ১৪ বছর বয়সে। তাঁর ছবিতে মানব দেহ বিভঙ্গের শক্তিশালী এবং বিমূর্ত প্রকাশ তখন থেকেই। হিরণ মিত্র ১৯৮০ এর দশক থেকে পূর্ব ভারতীয় চলচ্চিত্র,  টেলিভিশন, থিয়েটার  এবং সাহিত্যের ভিজুয়াল এক্সপ্রেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও  সমকালীন বাংলা সাহিত্যের জন্য বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইনের একটি মাপকাঠিও তৈরি করেন । তিনি ওপেন উইন্ডো শিল্পী গোষ্ঠী এবং ৮০ দশকের কলকাতার চিত্রশিল্পী  দলের সাথে যুক্ত ছিলেন।

বড় ক’রে দেখার জন্য ছবিটিতে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply