যুগলবন্দী :: জুয়েল মাজহার ও রাজীব দত্ত

[শুধু শারীরিক নয়, এই মানসিক দূরত্বের সময় আমরা চেয়েছিলাম শিল্পীরা কাছাকাছি আসুক। তাই এই উদ্যোগ – যুগলবন্দী। আলাদা আলাদা মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীরা একজোট হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে কবিতা থেকে ছবি বা ছবি থেকে কবিতা। এ’ভাবেই এ’ আয়োজনে কবি জুয়েল মাজহার ও শিল্পী রাজীব দত্ত।]


কবি পরিচিতি

জুয়েল মাজহার

জন্ম ১৯৬২ সালের ২০ জানুয়ারি। নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখড়া গ্রামে। থাকেন ঢাকায়। পেশা সাংবাদিকতা।

লেখেন মূলত কবিতা। কালেভদ্রে সাহিত্যশিল্প বিষয়ে গদ্যও লেখেন। বিচিত্র বিষয়ে প্রচুর অনুবাদও করেন— ইংরেজি থেকে বাংলায় আর বাংলা থেকে ইংরেজিতে।

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘দর্জিঘরে একরাত’, ‘মেগাস্থিনিসের হাসি’, ‘দিওয়ানা জিকির’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘রাত্রি ও বাঘিনী’।
প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ: ‘বসন্তরূপক হাসি’।

প্রকাশিত অনুবাদগ্রন্থ : ‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার’, ‘দূরের হাওয়া’।

পুরস্কার ও সম্মাননা : জীবনানন্দ দাশ কবিতা পুরস্কার ২০১৯, ঐহিক মৈত্রী সম্মাননা ২০২০, বেহুলাবাঙলা বেস্টসেলার বই সম্মাননা ২০১৯।

ভয়োরিস্টের দিন

জুয়েল মাজহার

পর্যটক নানাভাষী। কৃশ স্থূল পটবেলি
এসেছিল নানা দেশ থেকে

সকলের মন পেতে
এই দ্বীপ নিজেকে সাজাল ঢেউয়ে
থরে থরে চোখের প্রিজমে

স্বার্থপর, আততায়ী, ঈর্ষাতুর, লোভী ও করুণ
ছিটগ্রস্ত বেহিসেবি, আলাভোলা, ঠগ
মানুষের পক্ষে যা-যা হওয়া সম্ভব

সকলেই এসেছিল পর্যটক সেজে
একা ও আলাদা হয়ে পাশাপাশি তারা হেঁটেছিল ;

ঘনসর দুধে যে-কোমল স্বাদ
খাঁড়ির আড়ালে বসে সেরকম সঙ্গ চেয়েছিল

এদেরই কয়েকজন রতিপটু আর অকপট!
সদ্যচেনা একে-ওকে দিয়েছিল মুহূর্তের রতি

আর আমি ভয়োরিস্ট!
তবে খুব ভীরু ও লাজুক

উঁচু যে বালির ঢিবি তার
পেছনে ঢাউস এক পাথরের আড়ালে লুকিয়ে
অপরের আতীব্র চুম্বন, রতি দেখে
মেতে উঠি আপন রতিতে

কিছুটা বিব্রত হই, শরমিন্দা হই

সন্তর্পণে জেটির কিনারে গিয়ে একা বসে ভাবি:
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে তুমিও কি অলিন্দে দাঁড়িয়ে
দেখেছিলে আমাকে ও খেলপটু পর্যটকদের?

র্যা ডার স্টেশন থেকে এই দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়েছিল?


শিল্পী পরিচিতি

রাজীব দত্ত

জন্ম চট্টগ্রাম, বাংলাদেশে। লেখক এবং দৃশ্যশিল্পী। তার প্রকাশিত বই: সাবানের বন (কবিতা, ২০১৫, মিতাক্ষরা প্রকাশনী), ফরসা একটা ফল গড়িয়ে যাচ্ছে ( কবিতা, ২০১৯, তবুও প্রয়াস), রিউমার (মেটাফিকশন, ২০২১, বৈভব)।

বড় ক’রে দেখার জন্য ছবিটিতে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply