যুগলবন্দী :: দেবাশিস চক্রবর্তী ও দেবাশিস চক্রবর্তী
[শুধু শারীরিক নয়, এই মানসিক দূরত্বের সময় আমরা চেয়েছিলাম শিল্পীরা কাছাকাছি আসুক। তাই এই উদ্যোগ – যুগলবন্দী। আলাদা আলাদা মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীরা একজোট হয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে কবিতা থেকে ছবি বা ছবি থেকে কবিতা। এ’ভাবেই এ’ আয়োজনে কবি অমিতাভ মৈত্র ও শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী একত্রে কাজ করেছেন। সেই যুগলবন্দীর কাজ করতে করতে দেবাশিস নিজে একটি কবিতা লেখেন ও ছবি আঁকেন – ব্যক্তির দুই শিল্পীস্বত্ত্বার যুগলবন্দী।]

কবি – শিল্পী পরিচিতি
দেবাশিস চক্রবর্তী
উনি একজন অসামান্য শিল্পী, শিল্পের জন্য নিবেদিতপ্রাণ পেশাদার শিল্পী। একাধারে উনি একজন সমাজসচেতন কলকাত্তাইয়া, অন্যধারে একজন বিশ্বনাগরিক। দেবাশিসবাবুর কাজ ওঁকে এনে দিয়েছে দেশবিদেশের নানা সম্মান। তাও মাটি ও মানুষের গন্ধ উনি ভোলেননি। ভীষণ কাজপাগল হলেও কাজ ছাড়া সাহিত্য, বিশ্বরাজনীতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে ওঁর বিপুল পড়াশোনা। আজকাল ডিজিটাল আর্টেও বেশ মনোনিবেশ করেছেন এই শিল্পী।
প্রতিবিম্ব
দেবাশিস চক্রবর্তী
দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবিম্ব খোঁজা হলো, পাওয়া
গেলো না কোনো সংকেত। জলবিন্দু ঝুলে
রইলো নির্জন একাকী। হাতের কাছে রাখতে
হলো সামান্য সুতোর রিল, ছোটো কাঁচি,
পোড়া রুটি, আর বরফ কুচি, বলেছিলাম
বারবার কোন মুখোশই অপরিহার্য নয়।
বহু ক্ষত ঘুরে বেড়িয়েছিল অনন্ত
নীল আকাশে, কিছু নক্ষত্র সরে পড়েছিলো
নিজের অজান্তে।
মানুষের ধারণা ভুল, অথচ এটা বলা গেলো না,
অসংখ্য ডিম নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে ঠিকই ফুটেছিল।
কিন্তু তাপমাত্রার হেরফেরে গন্ধ ছড়িয়ে গেলো
দূর থেকে দূরে। গাছের ছায়াকে অন্ধকার বলে রটিয়েছিল
একদল মানুষ; তারা আজ নদীর পারে নেংটি পরে বসে।
ধারণাটা ভুল এইটা বোঝাতেই আমার অর্ধেক বয়স
পার। এ অনেক পুরনো রোগ যা সারে না,
গুহ্যমুখ খুলে দেবার পর সূর্য উঁকি মারলো।
কেউ জানতেও পারলো না এর গাণিতিক গঠন; অবচেতনে
রয়ে গেলো পরিশোধন পদ্ধতি, কোনো এক
যুগসন্ধির প্রাক্কালে এই ধারণা প্রকাশ পাবে।
মানুষ বড়ই একাকী যাপন রপ্ত করে ফেলেছে। এ
ভুলের সাজা কি? আমার জানা নেই।
বড় ক’রে দেখার জন্য ছবিটিতে ক্লিক করুন
Related posts:
Posted in: April 2021 - Cover Story, POETRY