কেমন আছ, দেশ? কেমন আছ, রাষ্ট্র? – প্রবুদ্ধ ঘোষ
কেমন আছ, রাষ্ট্র?
কুয়াশায় বড্ড ভয় করছিল। বসন্ত না পুরোতেই ফের কুয়াশা। দেখা গেল না স্কুল কলেজ। দেখা গেল না বন্ধুদের, আত্মীয়রাও কত কাছে বোঝা গেল না। কুয়াশা এত ঘন। আমাদের নিম্নমধ্যবিত্ত পাড়ায় পেশা বদলে নিলো কত জন। এত কুয়াশা যে, পাশের বাড়ির লোকও জানল না বদা আর বদার বউ ঝুলে পড়ল কখন। কুয়াশায় ঠাহর করা গেল না জামলো মাড়কাম রক্তবমি করতে করতে ’১১ কিমি’ লেখা মাইলস্টোনের পাশে শুয়ে পড়ল কখন। লকডাউনের প্রথম সাড়ে তিন মাসেই মারা গেল ৯৭১ জন, কোনও ভাইরাস-অসুখ ছাড়াই [১]। ১২ কোটি নাগরিক কাজ হারিয়ে ফেলল। কয়েক মাসে আচমকা মরে গেল ১ লাখ ৫৬ হাজার নাগরিক। সেই ঘন কুয়াশা ফাটিয়ে পরিযায়ীরা ফিরতে লাগল। শীতের ঘন কুয়াশায় পরিযায়ীরা ঠিকই ফেরে। ফিরতেই হয়। সাইবেরিয়া থেকে নয়, মহারাষ্ট্র থেকে, নয়ডা থেকে, চেন্নাই থেকে। পথে কতজন ফৌত হয়ে গেল। তুমি দেখেছিলে, রাষ্ট্র? নাকি, তোমারও চোখ ভরে কুয়াশা আর চেতনা ভরে ছিল বরফ? তাদের সবার নাম জানো? অবশ্য, তুমি সবাইকেই বেঁধে দিয়েছ ১২ সংখ্যার পরিচিতিতে। সংখ্যার রোলকল ক’রে ছুঁড়ে দিয়েছ বিস্কুট আর জলের পাউচ। আর কোনও নথিই রাখোনি [২]। এরা ‘এক্সপেন্ডেবল’, এরা তোমার খরচার খাতায়। ওদের শ্রম আছে শুধু, কিন্তু সেই শ্রমের ভাষা কোনও ভাষা দিবসেই স্বীকৃত হয় নি। কোনও শ্রম দিবসই ওদের দিন হয়ে ওঠেনি। অবশ্য, তোমার চেতনা নেই, তুমি নিরাকার। তোমাকে চালায় যারা, তোমার নাম পাদুকা মাথায় নিয়ে শাসন করে, তাদের চেতনা-আকার-রিপু সব আছে। তবে, তোমার আদি আছে, অন্তও।
রাষ্ট্র, তোমায় কেউ দেখেনি কখনো। অথচ, সর্বভূতে তুমিই বিরাজমান! প্রত্যেক ১২-সংখ্যার মাথায় বসেছও, প্রত্যেক আধার-সংখ্যার বুক চিরলে তোমারই নাম। জলের ইজারাও তোমার। তোমারই ইচ্ছেয় দেওয়া বাঁধে উজাড় হয়ে গেল কত পরিবার, তারা মুছে গেল। তারা অভিশাপ দিল ঈশ্বরকে, তারা থুতু ছেটাল বুল ডোজার আর বাঁধ-শ্রমিকদের। অথচ রাষ্ট্র, তুমি অজ্ঞাতে থেকে যাও কি সুকৌশলে! জঙ্গল আর খনিও কোনও গোপন চুক্তিতে বেচে দিলে বেনিয়াদের হাতে। কিন্তু, জঙ্গল-জল-জমি সবই তো প্রকৃতির! তবু, তুমি তো সেই প্রকৃতিকেও বেচে দেওয়ার ক্ষমতা রাখো, রাষ্ট্র! কবে যে কিনলে, তা কেউ জানেনা। কিন্তু, বেচে ঠিক দিলে। মানুষগুলোর বাড়ি-দোর উবে গেল। মানুষগুলো গুলি খেয়ে বা ইউএপিএ খেয়ে উচ্ছেদ হয়ে গেল। বেজে উঠল জাতীয় সঙ্গীত। সবজান্তা তুমি। জেনে যাও কার মনে কত বেআইন, কত অবাধ্যতা। ৮৪ বছরের কবি আর ৮২ বছরের যাজকের মনে কত দ্রোহ, সেই দ্রোহ বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়ার কী নিবিড় মন্ত্র তাদের, তা তুমি জানোই। অথচ জানো না সেই দ্রোহবীজ ব্রহ্মের মতো- তাকে ধ্বংস করা যায় না, তাকে নিঃশেষ করা যায় না। মালকানগিরি থেকে গ্রেপ্তার হয়ে যায় ১৩ বছরের বালিকা। সোনি সরির যোনি দিয়ে ঢুকে যায় তোমার বানানো পাথর। তোমারই বানানো সলওয়া জুড়ুম ৬০০ গ্রাম জ্বালিয়ে খাক ক’রে দিল; ৩ লাখ মূলবাসী মানুষ উদ্বাস্তু হল। না, এদের কাউকে তুমি স্বীকার করনি। এরা ‘বে-নাগরিক’ তোমার অঙ্গুলিহেলনে। ভীমা-কোরেগাঁওতে বিজয় উদযাপনকারী দলিতরা তোমার শত্রু হয়ে গেল, এনআরসি-বিরোধী মিছিল থেকে গ্রেপ্তার গর্ভবতী। তোমারই নির্দেশে সেনাদল ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামে গ্রামে, কবরের গন্ধ ভারি হয়ে আসে মণিপুরে, কাশ্মীরে। রাষ্ট্র, তুমি সর্বশক্তিমান।
রাষ্ট্র, তুমি অন্তর্যামী। কার ওয়াটসঅ্যাপে কোন ভিডিও, তুমি জেনে যাও। কার ফেসবুকে কোন শব্দ লেখা হলে তোমার বিপন্নতা বাড়ে, ঠিক খুঁজে পেয়ে যাও। তথ্যে তথ্যে জুড়ে নাও কাল্পনিক মতামত আর সিদ্ধান্ত নাও তার অন্দরে অন্তরে নজরদারির। কেউ ডানদিকে পাশ ফিরলেই বুঝে যাও সে তোমার আইটি-সেলের হয়ে কতক্ষণ কাজ করছে, কেউ বাঁ দিকে তাকালে বুঝে যাও সে বোধহয় ‘হালাল ঝাণ্ডা’ খুঁজছে। টুইটারে শেয়ার করা টুলকিটে নাকি চেতনায় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে সকলের, তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে তাকে বেঁধে আনো। রাষ্ট্র, তুমি চাও সবাই ঘুমোক, কৃত্রিম বসন্তদিন আর ভাতঘুমের স্বপ্নালু লালায় ঘুমিয়ে থাকুক সবাই আচ্ছে দিনের খোয়াবে খোয়াবে। তোমাকে চালায় যারা, তাদেরও রুলারহুড আছে- ব্রাদারহুড সিস্টারহুড ইত্যাদির মতো। রাষ্ট্র, তুমি এদের হাতেই সুরক্ষিত থাকো। এদের নিজেদের বোঝাপড়া, এদের নিজেদের মধ্যে চুক্তি তোমাকে আরও ক্ষমতাশালী করে।
কিন্তু এত ক্ষমতাবান হয়েও স্বস্তি নেই কেন, রাষ্ট্র? নিষ্কণ্টক হতে পারছ না কেন? সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় সব্বার মেধা-মাথার দখল নেওয়ার কথা ছিল তোমার। তোমার বাক্যকে বেদবাক্য মেনে ‘জো-হুজুর’ বলে নতজানু হওয়ার কথা ছিল সব্বার। গোপনে-প্রকাশ্যে কেন্দ্রে-রাজ্যে হরেক ছলাকলায় তাদের সম্মতি আদায় ক’রে নেওয়ার চেষ্টা আছে। উপমহাদেশের প্রবল গরমে হিন্দুত্বের নামাবলী জবরদস্তি চাপানোর নীতি আছে। তবু যারা নতজানু থাকেনি, যারা ওই নামাবলী ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, যারা তোমাকে বারবার অধিকারের কথা মনে করিয়ে দেয়, তাদের ছোঁয়াচ খুব অস্বস্তির, না? নিরোধহীন বন্দুকের গুলিতে, অপারেশন গ্রিনহান্টে, অপারেশন সমাধানে যাদের নিশ্চিহ্ন ক’রে ফেলার কথা ছিল, তারা দ্রোহঘোষণা ছড়িয়ে দেয়। দ্রোহীরা খুব বেঁচে আছে। রাষ্ট্র, তোমার ভয় করে? রাষ্ট্র, তুমি ভয় পাও। রাষ্ট্র, তুমি তৈরি থাকছ তো?
কেমন আছ, দেশ?
সংকট ছাড়া দেশের সংজ্ঞা তৈরি হয় না। কখনও শাসক তৈরি ক’রে দেয় সংকট। আরোপিত, জবরদস্তি চেতনা ভার। প্রতিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ। অভ্যন্তরীণ শত্রু নির্মাণ। শত্রু প্রতিবেশের সঙ্গে সবচেয়ে জনতোষী খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সীমান্তরেখার সংকট। অনুপ্রবেশ। প্রকৃত আর অপ্রকৃত নাগরিকের বিভেদ রচনা। ‘এক ভাষা, এক জাতি, এক ধর্ম’- বয়ান ছেয়ে যায়। শাসকের ধর্ম-বর্ণই শাসিতের অবশ্য পালনীয়। এই তো দেশ- শাসক তোমায় বানিয়ে নিলো। দোপদী মেঝেনকে যেমন বানিয়ে নিয়েছিল রিপ্রেসিভ স্টেট অ্যাপারেটাস, মনোরমা থাংজাম আর কুনান-পোশপোরার নারীদের যেমন বানিয়ে নিয়েছিল। ওগো দেশ, তোমাকে বানাতে থাকে সেনা, তোমাকে বানাতে থাকে ব্রাহ্মণ্যবাদ, তোমাকে বানাতে থাকে পেনাল কোড, তোমাকে বানাতে থাকে পুরুষতন্ত্র, তোমাকে প্রতিমুহূর্তে বানাতে থাকে ইডিওলজিকাল স্টেট অ্যাপারেটাস। দেশ, এদের মধ্যে তুমি কীভাবে? আনাজপাতির দাম বাড়ে, পেঁয়াজ-আলু’র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম রোজ বাড়ে, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। প্রতি পঞ্চাশ মিনিটে ফলিডল অথবা দড়িতে বিপন্ন কৃষক। দেশ, তুমি কোথায়? ছিলে? নাকি, তোমাকে বানিয়ে নেওয়ার প্রত্যেক মুহূর্তে আরও দুর্বোধ্য হয়ে গেছো?
নাগরিকত্বের সংকট কেমন গাঢ় হয়েছে। আমি যে তোমার জল-হাওয়া-ফসলে বেড়ে উঠেছি, আমি যে তোমারই ভূমিপুত্র, আমি যে তোমারই গল্পে মিথে ঘুমুতে যেতুম রোজ- এই সব প্রমাণ কীভাবে দেব? দেশ, আমি কী? যে ভোট দিই, যে রেশন তুলি, যে ব্যাঙ্কে টাকা রাখি, যে গ্যাস-ইলেকট্রিক ব্যবহার ক’রি- আমি? আমি কে? যে অন্নবস্ত্রের সংস্থান চাই, নিশ্চয়তা চাই, অক্ষরজ্ঞান চাই, প্রতিবেশ আর সমাজের সঙ্গে বিভিন্ন নিরুপদ্রব সেট-সাবসেটে মিশে থাকি- সে-ই আমি? এর প্রত্যেকটার সঙ্গে তোমারও কি নির্মাণ নেই, বলো? অথচ, এই সমস্ত কিছু থেকে আমাকে ‘নেই’ করে দিতে চায় কারা! আমি নেই হয়ে গেলে, তুমি ভাল থাকবে, দেশ? আমারই কল্পনায় তোমার নাম- দেশ। আমারই প্রাত্যহিকে তোমাকে প্রয়োজন। আমাদের আখ্যান জুড়ে জুড়ে তোমার পূর্ণতা। দেশ কী? কোথায় থাকো দেশ? দেশদ্রোহী বনাম দেশপ্রেমিকের বানানো দ্বন্দ্বে? দেশ, জানো, কে বানায় সেই দ্বন্দ্ব? রাষ্ট্রের মুখোশ এঁটে যারা ঠিক ক’রে দেয় রেশনের পরিমাণ গ্যাসের দাম, যারা সমস্ত সঞ্চয় আর নিশ্চয়তার প্রত্যাশা ওলোটপালট করে দেয়, যারা অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের জোগান কেড়ে নিতে চায়, তারাই বানিয়ে দেয় ওই দ্বন্দ্ব! যারা শিক্ষার ন্যূনতম অধিকারকে নস্যাৎ ক’রে দেয়, যারা লকডাউনের সুযোগ নিয়ে ঠিক ক’রে দিল শাইনিং ইন্ডিয়া পড়ার সুযোগ পাবে আর রুখু ভারত সুযোগ পাবে না, যারা পাঠ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে চাইল নিজেদের মতাদর্শের বিপ্রতীপ বিজ্ঞান-সাহিত্য-ইতিহাস, তারাই তৈরি ক’রে দিল দেশপ্রেমিক বনাম দেশদ্রোহীর দ্বন্দ্ব! তারাই গড়ে দিল জনমতামত, আদায় ক’রে নিলো জনসম্মতি। দেশ, তুমি আর রইলে না এই দ্বন্দ্বের ভেতরে, রাষ্ট্র তার মুখোশে তোমার আদল এঁকে নিলো। আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হলুম। আর, যারা বিশ্বাস করলুম না, যারা এই মুখোশ নির্মাণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললুম, তারা কি দেশদ্রোহী হতে পারে, দেশ?
দেশ, তোমার স্বীকৃতি কিসে? ক্রমশ: প্রসারণে প্রতিবেশকে গিলে নেওয়া? যেমন জাতিরাষ্ট্র বানাতে চেয়ে প্যালেস্তাইনকে গিলে নিলো ইজরায়েল? কী চাও? আদি যুগ থেকে চলে আসা পদ্ধতি- যুদ্ধ আর দখলের নীতিতে অন্যকে পিষে দেওয়া? তেলের লোভে, খনির লোভে, মানুষের লোভে, সস্তা শ্রমিকের লোভে। মুনাফার লোভে অবমানবিত করার প্রক্রিয়াই কি তোমাকে ভালবাসা? দেশ, ঈশ্বরের নামে, ধর্মের নামে এবং সমৃদ্ধির নামে প্রতিরক্ষা খাতে সিংহভাগ বরাদ্দই কি তোমাকে ভালবাসা? নাকি, বহুদিন আগে সীমানাহীন মানবচলাচলের এক ভূখণ্ডের প্রত্যাশা করেছিল যে গান, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে প্রতিরোধের সর্বজনীন আহ্বানে মানুষে-মানুষ সংযুক্ত রেখেছিল যে গান, সেগুলোই তোমাকে ভালবাসা? যে আখ্যানে মানচিত্রের কাঁটাতার-রেখা পেরিয়ে অস্তিত্বের সন্ধান জারি, সেটাই কি তোমার আখ্যান নয়? দেশকে যারা শুধু মানচিত্রে পরিণত করল, দেশপ্রেমের বয়ানে যারা সমস্বর হননোল্লাসকে স্বীকৃতি দিল, তাদের যাবতীয় কাজে সায় না দেওয়াকে কি দেশদ্রোহিতা বলো তুমি, দেশ? নাকি, অনিকেত বর্তমান আর দুঃস্বপ্নকে পেরোতে চাওয়ার প্রবল ইচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় আধিপত্যবাদকে প্রত্যাখ্যান করাই দেশপ্রেম? তুমি কোনটায় ভাল থাকো, দেশ?
যারা মরে গেছিল ট্রেনের ভেতর, দড়ি গলায়, ট্রেনের চাকায়, ট্রাকের ভেতর কিংবা স্যানিটাইজার খেয়ে, তারা সবাই উঠে দাঁড়িয়েছে। আবার কাজে যেতে হবে। সব রক্ত, সব ভুখা পেট, সব দড়ি, সব বিষ সরিয়ে রেখে ওরা কাজ খুঁজতে যাচ্ছে, দেখো, দেশ। এদের দিকে তাকাও। এরাই তুমি। রাষ্ট্রের লেখা ইতিহাস-সাহিত্য-বিজ্ঞানে এদের নাম নেই। দেশ, অসংখ্য এদের শ্রম দিয়েই তোমার সংজ্ঞায়ন। দেশ, এখনও দেরি হয়ে যায়নি। সংকট বেড়েছে, সংকট বাড়ে। একবার রাষ্ট্রের খোলস ছুঁড়ে ফেলে নিজেকে সন্ধান করো। তুমি আলাদা আলাদা ক’রে হিন্দু নও, পুরুষ নও, নারী নও, মুসলমান নও, দলিত নও, কাঁটাতার আর কাঁটাতারে আটকে যাওয়া শরণার্থী নও- এই সমস্ত সত্তাগুলি জুড়ে জুড়ে তুমি। তুমি শুধু ভোট না, তুমি শুধু ভোটার না, তুমি রাষ্ট্রের মুখোশ না, তুমি শুধু শুকনো সংবিধান না, অমানবিক প্রশাসন-কানুন না! না-এর খোলস খুলতে খুলতে সমস্ত অসমবণ্টন আর ধর্ম-লিঙ্গ-শ্রেণি বৈষম্যের আঁশ ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে তোমার সত্তা- ‘ভারতবর্ষ কোনদিকে?’ জিজ্ঞেস করেছিল ভানুমতী। উত্তর খুঁজে পাও তুমি, দেশ, বলো, তুমি কোনদিকে?
[লেখক – গবেষক, তুলনামূলক সাহিত্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]
___________________________________________________________
তথ্যসূত্র:
[১] https://thewire.in/rights/centre-indian-railways-lockdown-deaths-migrant-workers-shramik-special-rti
Posted in: ARTICLE, March 2021 - Cover Story