সোনালী চক্রবর্তী-র কবিতা
প্রস্তাব সমাচার
অজস্র হাতের ছায়া রঙ্গমঞ্চে,
মুদ্রায় ইঙ্গিত,
‘পাশে আছি’, ‘সাথে নাও’।
ফলত ব্যক্তিগত অন্ধকার অভেদ্য এক দূরত্বের জন্ম দেয়,
সেখানে শূন্যের ফসল প্রবণতায় সূর্য নিতান্ত বিরক্ত।
যেমত অঙ্গার অকারণেই কুসুমভুক।
অথচ ‘একা হও’ এই উচ্চারণ নিতে শ্বাস ছিলো নিজস্ব ইলতেহাবে,
যেভাবে চাঁদ খুঁটে খেতে খেতে শরবনের আতিশ ভাবে,
উন্মাদের বোধি কোনো সৎকার স্বীকার করে না কখনো।
চিড়িয়াখানা
দেখো বধ্য বলতেই তুমি বনের নাম নাও অথচ বাঘের মাথা কোনো ব্যাধেরই গৃহশোভা হয়না কোনদিনও। আউল দেখো রতি রতি ধানের গন্ধ খুঁড়তে গিয়ে হাঁসের বুক খালি। আর আমি দেখি তোমায়, সে কাজে জরুরি যা, পালকের পতন পেতে চৈতন্যে গর্দভকে ইহা গচ্ছ বলি। ছেঁড়া উষ্ণতা রিফু হবে, বারবার শৈত্যপ্রবাহ খুঁজে আনি সেই লোভে। বড় যত্নে তাকে আসন পেতে দাও হৃদপিণ্ড থেকে তেকোনা উনুন, সম্ভাব্য সব প্রস্রবণে। শিকার ও মৃগয়া এক খেলা নয়, দুজনেই সম্যক জানি। অতএব, শবদেহদুটি ঘিরে জ্যান্ত দশটি পিঁপড়ের উল্লাস চাখতে চাখতে থাবায় শুকিয়ে ওঠা রক্তের গন্ধে মসৃণ ঘুমিয়ে পড়ি।
Posted in: February 2021, POETRY