অরূপরতন ঘোষ-এর কবিতা

প্রজাতান্ত্রিক কবিতা. ২৯. হেমন্তে

পাথরের হাত
উড়ে গেল এক নীল রবিবারে
যেন অবিশ্বস্ত ময়ূর ঝর্ণায় ভেসে গেল রূপোর ব্যাগ ও
সতর্ক ডাকপিওন —

ঘুমের মধ্যে চন্দ্রিমার কথাও আসে, আচম্বিতে
বেলপাহাড়ির এস.ডি.ও যাকে ভালোবেসেছিলো

এখন আসরের মাঝখানে
হঠাৎ জেগে উঠে মনে হচ্ছে
আড়চোখে দেখে নিই ক’টি রঙের তাস
এখনও তোমার হাতে আছে

আর কতদূর ছায়া পড়ে রাতে
এই কাঠের বাংলোয়—
পাহাড়ি মেয়েটি যখন রান্না শুরু করেছে

পূর্ণিমার নাকি নেই বেশি দেরী..

প্রজাতান্ত্রিক কবিতা. ৩০. ভালোবাসা

স্টেশনের নির্জন রুং ঢেকে দিয়ে গেছে চরাচর
শক্তি, শক্তি বলে ডেকে উঠছে যে তরুণ যাত্রীটি
তারও পা-এর ভাঁজে লুকানো রয়েছে এক ধারালো অস্ত্র —

আমাদের বিবিধ আলাপচারিতা, কাঠের চেয়ার
কত সাধারণ ফুলের গন্ধ, পাখির কুহক ডাক
একে একে মিশে যাচ্ছে করমর্দনের সাথে

বোঝাও যাচ্ছে না কে কাকে ভালোবেসেছিল..
শুধু তোমরা আসবে তাই
অগ্রন্থিত কবিতায়
উঁচু নীচু রেখা কিছু থেকে যাচ্ছে
কুসুমের পথে..

Facebook Comments

Leave a Reply