অহনা সরকার-এর কবিতা

ওথেলো

ওথেলো, নিজের বাঁশি যন্ত্রবাদক আবদার সব সরিয়ে একপাশে হাঁটু গেঁড়ে দেবতার উদ্দ্যেশে মাথা ঝুঁকিয়ে। হাতের পাতা পায়ের তালু সহকরণের দাগ স্পষ্ট এখনো
“থমা, থমা”
নারী ডাকে চোখ খোলেন
দিগন্ত উজ্জ্বল সাদা নীল আলোয়, সেই খুব মেরুর কোণে বলে এমনসমন ঘটে! কিন্তু এ তো সমভূমি সমতল বালির পাহাড় দিন রাত্রির কেমল উটের গলার ঘন্টি – তাদের লম্বা ছায়া
বিচার দু চোখ আবার ডলে
পাথরের দু ঠোঁটের জোড়া মুখ মাথায় ঈগল ডান হাতেও তাই বোধহয় মুখটা ভেঙেছে বোঝা যায় না। কিন্তু এই চাপা দুঠোঁট এমন কেন! অধর মাঝখানে “ভি” ওপরের ঠোঁটের মাঝ তার ভেতর! শিল্পী এমন করেছিলেন কেন!
পাথর ঘেরা ফালি সবুজ জল মাঝে সবুজেরই আমদর্শনা ফুল – ঘন গাঢ় সবুজ প্রায় হাজার কয়েক বৃন্ত তারাও ঠোঁট টেপা সব জলের ওপর সাজানো এলোমেলো এটাই ফুল – তীব্র হলদে লাল মোটা ত্রিকোন সরলরেখা একে অন্যকে কেটে জোড়া এমন গন্ধ। ভেতরে সব কচুর পাতার মতোন লিকলিকে গাছ এক ঠ্যাংঙের
মাটি নেই – আছে! ঘাসেরা নিজ ভাষায় মাথা দুলিয়ে তারা হামাগুড়িও দেয়! চলছে!
বিরাট গহ্বরে হলদে ডাঁটির ফুল। ডাঁটিটাই একটা বা অসংখ্য ফুলের। তারাও কথা বলে মাথা নাড়া
গর্ভবতী কুসুম আমাদেরই ঘরে টালির চালে লাউ জন্ম ঘটছে

১১.

আশ্বত আর অনেক
বুর্জোয়া মাটি কাঁধে তীর চিহ্নটা রক্তের
উঠে দাঁড়া ওঠ রাত পোহালেই জাতীয় হিমঘরে প্রাচ্য মধ্য মা মাটি মাতাল
মকুব! শোনা যায়
বিশেষ্য বোধ – বাদ দিন
লাভ! আক্রোশ নিঃফল বিমান রাক
মন্তরে কথাদের ত্রিফলা প্রচ্ছন্নবাক্ অতীর

অনেক আগে ধরলাম স্টেজ তখনো কচি মানুষ তার সদ্য শেখা, পাড়ে হাতকড়ি নিজস্ব বালি ঘর
আগুন লাগলে জ্বলে আগুন পিঠের শ্বাস। মধু পাড়া দিনে
বর্জ রাজ কষ্টি সপুত্র রাত ফেলে নিজ ভবনে ভবা ভবা চুল
চাবকানো

কাম – বয়ধ্য রামী বীর সতেজ গুটানো
কোমর পর্যন্ত আমরা টেনে নামানো আমরা হাসি মুখ বিরাগ অবাধ্য – “সব মনে রাখা হবে” রাখবো
রাখা

Facebook Comments

Posted in: February 2021, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply