কৌশিক শাস্ত্রী-র কবিতা
আপনি জানেন না
ব্যোম থেকে নেমে এলো কয়েকটি অর্ধভুক্ত চাঁড়াল
ক্ষিতির ওপর, এখানে তখন শূন্য বসত করে
তার মধ্যে জন্মেছে গোটাকয় বেজন্মা দুব্বো ঘাস,
ছেড়ে দিয়ে খান দুই বাছা বাঁজা ষাঁড়
এটাকে বানালো ভূকৈলাস
তারপর কাল বহে নিরবধি, বায়ু বহে পর্দাহীনা
কতদিন! আপনি জানেন না?
বাদাম ভাঙা দুপুর ডবকা ছুঁড়িদের মতো দোলায় কোমর
নাক দিয়ে উষ্ণ হাওয়া গোঁফ দেয় পুড়িয়ে
প্রতিবার চিলেকোঠার রোদে, যতবার মগ্ন ছায়াদের দেখি
ততবার তার ডুবন্ত পাথুরে খাঁজ গুলি মাথার উপর
আছড়ে পড়ে একফোঁটা জলহীন হিমবাহের মতো,
আমিও লেজ দুলিয়ে আহ্লাদিত প্লাটফর্ম ছেড়ে দিই
রাস্তা শুঁকতে শুঁকতে শ্রাবণ
হয়ে যাই, প্রবাদপ্রতিম সেই বাঁদরটার
মতো তৈলাক্ত বাঁশে কতবার হাবুডুবু খাই, উঠি আর নামি
আপনি জানেন না|
আমার বত্রিশ সিংহাসন
চলো যাওয়া যাক
দুপাশে চলমান ছায়াগুলি দেখতে দেখতে সিঁড়ি দিয়ে নামি
সূর্য গলা ডুবিয়ে বসে আছে, শুনছো হাওয়ার রং
কেমন রাস্তায় ভাসছে অথেই সবুজ
আমার বত্রিশ সিংহাসন পুত্তলিকা শুন্য হল আজ,
দেখবে কেমন রাজা ভোজ সেজেছি আমি এ বাদাম দুপুরে
কেমন দেবদারু বন শুন্য হল হঠাৎ জোনাকি ও দৈত্যের প্রহরে
ঘর, দুয়ার, বন্, পাহাড় ভেঙে মৎস্যচক্ষু
তোমার কাহিনী শোনে জন্মজন্মান্তরে, ভুলে গেছো ?
এখনো?
-কেমন আছো ?
-এই তো চলছে বেশ, মাছে ভাতে ডালে ঝোলে শব্দে ঘ্রানে বেশ তো কাটছে দিন
-সুদিন? আচ্ছা কখনো অন্ধকার দেখেছো? কেমন ঝুপ করে অন্ধকার নেমে বসে ঘরের পাঁচিলে,
পা দোলায়? গোমড়ামুখো পাঁচিলে
-কেমন মুদি দোকানটার মাথা ভারী হয়ে আসে প্যাঁচার মতো
-দেখনি নবীন মিত্র লেনে?
-এখনো কৃশানু আসে সন্ধেতে?
কি করো তখন? জানালায় পর্দা ভিজিয়ে দাও
নাকি বলেই ফেলো “শরীরটা ভালো নেই তেমন”
দূর ছাই! যা খুশি করো
তোমার নবীন মিত্র লেন কলকাতার চেয়ে বড়ো|
Posted in: January 2021, POETRY