তুলসী কর্মকার-এর কবিতা

অগোচরে

পাখিটি প্রায় বিকেলে খুঁটির মাথায় চড়ে
খুঁটি দুলতে থাকে পাখি মজা নেয়
লোকজন দেখলে পাখি উড়ে যায়
নিরিবিলি নিরাপদে আবার আসে
এখানে চমক নেই
পাখিজাতি শক্ত খুঁটি চিনে
খুঁটির মাথায় বসে ভাব সাগরের ডুবে যায়
খুঁটি আর পাখি উভয়ে আনন্দ করে……

তুলি

ছবি আঁকতে আঁকতে ঘর হয়ে যাই
মজবুত জানালা চারিদিক বন্ধ
মোমবাতি জ্বলছে
মাথার উপর মেঘ ঝড়ের তাণ্ডব
সদর দরজায় ছিটকানি লাগানো
পূর্ণ প্রাইভেসি
আরশোলা ঘোরাঘুরি করে
ভায়োলেন্স উঁকি দেয়

ঘরের ভিতর কিছু আঁকতে আঁকতে যুবক হয়ে যাই
তরতাজা যৌবন পরনে বগল কাটা গেঞ্জি
কড়া নাড়ে বৃষ্টিস্নাত যুবতী
স্বপ্নের মতো ছবিগুলো দৃশ্য হয়
দৃশ্যগুলো প্রেমিক প্রেমিকা
নরম রাত উন্মাদ হয়ে যায়
শিরশির করে গা ঠোঁট কেঁপে ওঠে
গামছা দিয়ে মুছতে মুছতে
নরম তুলতুলে অনুভূতিরা আড় চোখে দেখে
তারপর সাজে অফুরান স্বাধীনতা

দফায় দফায় বৃষ্টি হতে থাকে
শব্দ হয় মাটি ভিজে
লেপটে যায় ছবি
এসব আঁকতে আঁকতে ভোর হয়
পাখি ডাকে মুখচোখে তৃপ্তি
দরজার সদরে অনেক লজ্জা
ও বাড়ির বউটা বড্ড সকালে ওঠে
ততক্ষণে তুলি চরিত্রহীন হয়ে যায়…….

Facebook Comments

Leave a Reply