স্বদেশ মিশ্র-র কবিতা

ফিরদৌস

কে যেন বলেছে যেমন
সুতোর বুনোটে মাটির রঙ
লাইসার্জিক মধুপ্রজ্ঞায়
ক্রিংক্রিং বেল বাজিয়ে দেওয়াই যেতো
কিন্তু হাওয়াসাইকেল যায় উড়ে
দেখি আকাশের রঙ স্বচ্ছ খুব,
ভূপৃষ্ঠের বুকে একটি
হেরণ এসেছে হিরণ্য হয়ে

শব্দের

চুপিসারে

তরুনিখিলের আনন্দতন্ময়
ক্রীড়ায় লিপ্ত নর নারী অনর অনারী
অনড় একটি আনাড়ি তার মধ্যে
বারান্দাগান জোড়ে
জুড়ে জুড়ে বৃষ্টি নামায়
তার বুক চিরে
উড়ে যাচ্ছে হাওয়াসাইকেল
ফেরেস্তার দেশে, ফিরদৌসে
তরুনিখিলের অধরতন্ময়
অধুরা না থাকে না থাক
হৃদন্ত উড়ানপুর
বোধমাত্রসার
ব্যপ্তিসহবাস

রোদ্দুর

রৌদ্রজ্জ্বল আর রৌদ্রজল
দুই এর মধ্যে রোদ্দুর কমন
বেড়ে উঠছে সুপারিগাছ
ডাহুক ডেকে উঠছে দূরে
জানলায় বরফ পড়েছে সারারাত

স্মৃতিসৌধের ধার ঘেঁষে
চাতালের কাছে
ফুটে উঠেছে বাদামফুল
টেবিল ও চেয়ার চলেছে উন্মার্গে
শস্যের ক্ষেতে ভেসে উঠছে কামনার ফসল
অস্ত্রাগারগুলো নীরবে থাকবে অনন্তকাল
মানুষ মরে হাওয়ায় বাতাসে
অদৃশ্যজ্ঞান
হৃদয়ের প্রেত হয়ে যাওয়া
কে কোথায় যুদ্ধে রত
হননের গান বেঁধে
প্রাণান্তকর রিরংসায়

অসাধ্য আর সাধ্যের
দ্বন্দ্বপরায়ণ ক্ষেত্রফলের কাছে
উবু হয়ে বসে আছে মানুষ
নির্বাণকে মনে হয়না অভ্রান্ত,

নিরন্তর
পিঠে রাখা পিঠ, বুকে রাখা বুক,
আজানুলম্বিত মেঝেতে গড়িয়ে দিলে কমলালেবু
ফিলামেন্টের দপদপ
কিছু আনুভূমিক হাইপারস্পেস
আকাশস্য নিরালম্ব
আত্মা একটি ভ্রমমাত্র
চিত্তাবস্থা একটি অনবচেতন
চেতনাতীত যা কিছু
তার দিকে হাজার হাজার সাদা পায়রা উড়িয়ে
তোমাকে হৈ হৈ করে অঙ্গে মেখে নিচ্ছি তরঙ্গ
এই সায়মাস। অক্ষরছায়া। সমিধহুতাশ। কৃপাকরপুটে। গড়তে গড়তে ভাঙা যায় এবং ভাঙতে ভাঙতে গড়া, তদতিরিক্ত অগড়া নিগড় একটি ডায়েরীর শূন্যপাতা
ক্রমশঃ লালচে হয়ে ওঠে,
যেন কাগজে মরচে ধরেছে
শিকড়ের গায়ে বিহ্বল জড়ানো
ঘোরানো সিঁড়ির কাছে
কাপড় খুলে উড়ে যাচ্ছে অলিভকথা
কালান্তরের ফসল
তোমার আমার কিছু নয়
কেউ নয় কেউ নয় কেউ…

Facebook Comments

Leave a Reply