শৌভিক দে সরকার-এর কবিতা

কমলা জোনের খসড়া

ফুসফুস

খাট আর মেঝের মাঝখানে
একটি বালের মৃতরেখা ঝুলে থাকে
খুব বেশি কার্বন ওই রেখাটির চারপাশে
আমি ঝুঁকে রেখাটির গন্তব্য চিহ্নিত করি
ধাবমান পিঁপড়েদের ওপর শ্বাসাঘাত এর মতো নামিয়ে দিই আঙুল
পিঁপড়েরা থামে
যৌথ আমোদের কথা ভেবে
এক এক করে নামিয়ে রাখে
চিনির দানা, সাদা নখের টুকরো, মরা মাস, অগাস্টের কূল-কিনারা

লুব্ধক

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কেউ একজন ছড়ছর করে পেচ্ছাপ করে দিল। আমি ছাদের আলস্য থেকে মুখ বের করে লোকটার পেচ্ছাপ করার আকুতি দেখলাম।লাবণ্য আর হিম ঝরে পড়া অক্টোবর আকাশের নীচে কোনও মানুষের মুখ আলাদা করে চেনা যায় না। মাথাকাটা ভূতের মতো মনে হয় সবাইকে। দেওয়াল খুলে জড়ো করে রাখা বাড়ির লোহা, জং আর পাথরকুচির ওপর দেখলাম পেচ্ছাপরত একটি ছায়ার মতো মিলিয়ে যাচ্ছে মারীর বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যশিক্ষার লিফলেট।

Facebook Comments

Leave a Reply