রাণা রায়চৌধুরী-র কবিতা

আমার প্রাচীন তানপুরা

বিস্তারিত তিস্তা নদী দেখতে যাবো পরের ছোটবেলায়

তুমি শাড়ি পরে এসো

তুমি আকাশের মতো বিস্তৃত হয়ে এসো

আমার এই বুকপকেট-সম ছোট হৃদয়ে
দীর্ঘ তিস্তা দেখার এলানো মন নিয়ে যাব,
সাহস নিয়ে যাব ওইদিন।সঙ্গে শিশুর ছবি আঁকার
মন ও হাত এবং অবুঝপনা

সেদিন যা চাইবো তা দেবে বলো?
দেবে?
ঠিক দেবে তো?

তুমি যা ভাবছো তা চাইব না

আমার অমনোযোগ তোমাকে ও
তিস্তাকে আরো সুন্দর করেছে

তোমার বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও ঢেউ
আমি মনে মনে গুনি

আমি ভিজে যাই শোকে ও মায়ায়

আমার প্রাচীন তানপুরা বেজে ওঠে

শমীকের কথা

শমীকের কথা খুব মনে পড়ে।

মনে হয় জিগ্যেস করি
‘কেমন আছো?’

উফফ আবার নেট অন করতে হবে,
এই কুঁড়েমিতে আর ‘কেমন আছো’র কাছে, শমীকের কাছে পৌঁছনো হয় না

কেমন আছে শমীক?
আমি বরং জানলার বাইরের হাওয়াকে,
অন্ধকারকে জিগ্যেস করি…

‘ভালো আছে, ভালো আছে’
এই উত্তর শুনতে পাই, অন্ধকারের
আলোর বিন্দু হতে

বাইরে অমাবস্যা। ভিতরে তার এস্রাজ বাজছে।

বিয়ে বাড়ির শেষপাতের মিষ্টির মতো
ভোর আসে

আমরা দৌড়োই। আমাদের দৌড় শুরু হয়। আমরা সবাই ফার্স্ট হই।

শমীক নেভা মেডেল নিয়ে
রবীন্দ্রনাথের গান গায়, খেলা করে
ছেলের সঙ্গে

দীর্ঘ অমাবস্যার ভিতর
শমীকের সঙ্গে আমরাও
আলোর সন্ধানে, কিছু না পাওয়ার সন্ধানে চলেছি

পথে ধুলো ও বিবাহবার্ষিকীর চাঁদ ঝুলে আছে

Facebook Comments

Leave a Reply