রাজেশ চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
১.
নির্মাণরত বাড়িটা দিনের পর দিন ঘর হয়ে উঠছে। বাঁধব বলেই এতদূর আসা। চোখের কোনে ধান ফুল শিশির ভিজিয়ে দেয়। ফিরে আসে না খিচুড়ি দিন, রিপু প্যান্টের ঘাম। বাবার জুতো পায়ে এ কোন আমি দাঁড়িয়ে আয়নায়! আয়না ভেঙে আমার প্রতিপদ। কেঁপে উঠছে পৃথিবী অথচ কেন্দ্রে কোনও সূর্য প্রখর নয়।
২.
ইট ফেলে গেছে তার লাল
রং হারিয়ে ফেলে সন্তানের চোখ
অন্ধকারে খুঁজি অতল
সন্ধ্যা নামে বুকে বুকে
আঙুলে লোহার গন্ধ নিয়ে
মা সিঁদুর মাখাচ্ছে চৌকাঠে
৩.
অভিমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
তুমি চুল আঁচড়ে নিচ্ছ
ভাবছ চিরুনির কপটতা কতদূর গেলে
বাড়ি বয়ে আনা জল শুকিয়ে যাবে
পাতালের পা ধুয়ে নেওয়া রাস্তা
পিছল পেরিয়ে মরুযাত্রা
কাঁটা নেই তবু রক্ত
পায়ের আর কি দোষ!
৪.
আঁচড় দিলে নখের অভিমান
প্রতিশোধ সেই আগুনের শিখা
নেভাতে গিয়ে ঘর পুড়ে যায়
জল স্বচ্ছ আবেদন মাত্র
ভাঙার অপেক্ষায় আয়না হয়ে গেছে
Posted in: October 2020 - Cover Story, POETRY