প্রসূন মজুমদার-এর কবিতা
যাওয়া
কে যে কোথায় যাব কেউ কিচ্ছু জানি না।
কেন যাচ্ছি?
‘যাওয়ার আনন্দ’ লেখা একটা মোটরবাইক গোধূলির রাস্তায় মিলিয়ে গেলো। বাঁক নিলো না।
গৃহস্থের খোকা হচ্ছে।
খোকাদের পাঠশালা রোগ।
বিজ্ঞান নামের একটা মুনিয়া বুলি শিখেছে ঠিকঠাক।
একটা ল্যাম্পপোস্ট সরে গেল আর একটা জলকল।
নদী বাঁক ঘুরে দেখলো কেউ তাকে এঁকে রেখেছে আগেই।
তাহলে সে কি বাঁক নেয়নি? বাঁক তাকে নিয়ে যাচ্ছে এখন?
কোথায় যাচ্ছি কেউ জানি না।
গন্তব্য নামের একটা পাতিহাঁস পটে আঁকা নদীটির বাঁকে
ডুব দেয়। ভাসে। ডুব দেয়। ডুব দিয়ে চলে।
সত্যপরতা
সত্য, যে আমাকে ছেড়ে বহুদিন চলে গেছে
ছিল কি কখনও, কোনোদিন?
এই গাঁড়ফাটা রোদের দুপুরে আজ তার কথা মনে পড়ে।
সত্য ছিল মনোরম।
গাঁড় বললে জিভ কাটতো। জিভকে সে জিহ্বা বলতো মনে পড়ে।
মনে হয় আরও কয়েকদিন থাকলে বেশ হতো।
দানাগুলো নষ্ট হচ্ছে।
নষ্টামি করতে করতে সত্যর কথা মনে পড়ে খুব।
সত্যি বলতে কি সত্যই পোঁদ মারতে মারতে নির্বিকার
‘পায়ুকামক্রিয়া মিথ্যে’, বলে খিলখিল করে হাসতে পারতো অনায়াস।
সত্য ছিল মনোরমা।
মনোরমা ছিল বলেই মিথ্যেকে সত্য বলে সহজে জানলাম।
Posted in: October 2020 - Cover Story, POETRY