প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা

এই দ্বিপ্রহরে

কিছুমাত্র নাই। কেবল বুদবুদযুক্ত কিছু শব্দ। উল্টোপিঠে এইরূপ। সামান্য কামদ। অথচ রক্ত তাহাতে শ্লেষ মাখিতেছে। বাতাসের কিঞ্চিৎ আনাগোনা। যেরূপ জন্মস্থানে হয়। যেরূপ সুপারিগাছের ছায়ায়। সাদা কেবল নামিয়া নামিয়া। প্রবল বিশেষণে যেমত ধর্ষণ। এইমাত্র যে বাহিরে, তাহা নহে। স্তন যোনির সংসর্গে সন্ধ্যা হইয়াছে। তথাপি খুঁড়িয়াছি গর্ত। হত্যাই একমাত্র নিস্কৃতি তাহাদের, আমার। গন্ধরাজ কী অপরূপ এই দ্বিপ্রহরে! এইরূপ সম্ভব নির্মাণ! তবে শুনি, তুমি ঈষৎ রক্তবর্ণ, নগ্ন এবং লোভাতুর! তবে কে দেবে কোল! কে রাখিবে এই অখণ্ড মাথা যথাযথ খাঁজে, রঙিনে, আগুনে! কে করতলে রাখিবে আহ্বান এবং কিশোরের অনিবার অশ্রুপাত!

শব্দপ্রাকার

জুড়ে দাও শব্দপ্রাকার। অশ্রু আনো। হাহাকারে তুমুল উঠুক সম্মত জীবন। যেন অদ্যাবধি তাবত হত্যা শিশিরে শিশিরে সমাহিত। মোমবাতির দ্বিতীয় প্রয়োগ করে তোলো অদ্বিতীয় বর্ণবিভাজন। আমাদের সিঁড়িগুলি কিছুমাত্র মসৃন ছিল না। কৌতুক বোধ হয়। শব্দে শব্দে ভেঙে ফেলি আলোর নির্যাতন, ধরতাই দশটি আঙুল।

Facebook Comments

Leave a Reply