প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

তানাশাহি

এক

কিছু কথা তার ব্যসনে বিঘ্ন ঘটিয়ে এসেছে ۔۔۔

নিস্তরঙ্গ শ্রাবস্তী
আমাদের ছোট্ট বাঁশঝাড়
মেঘরঙ – পরা বৃষ্টি আজ
মেয়েটির আদলে গড়া

দরজা ভাঙলো
মনের মহার্ঘ দিয়ে
ঠিক এখান থেকেই
দহনের এক অদ্ভুত ক্ষমতা
আলতো ধোয়া রেলব্রিজ
আকাশের লোহা গলানো হয়
অচেনা সরাইখানায়

চিবুকের তিল খেতে খেতে
কেন যে আমার চোখে জল চলে আসে বারবার
দূরের চূড়ায় হাল্লারাজার শঙ্খচিল

রাস্তারা তৈরী করছে,
বসুধারা নামে এক ক্ষণিক রিরংসা ۔۔۔

দুই

কী এমন ইশারা আলো,
সামান্য হাতের বেহালাবাদক, বাজায়
প্রতিরক্ষাহীন দূরবর্তী
অন্ধকার ফুঁড়ে ভেসে ওঠে রঙ
স্নায়ুতে সুরা
যতই সে দূরে চলে যায়
তার ছায়া ঝলসিয়ে ওঠে
অরক্ষিত আশ্চর্য সজীব
বাজনায় গুলজার নরক
মেপে তৈরী ۔۔۔

থাকতে থাকতে শুরু হয়,
অভুক্ত অক্ষর থেকে ছাইচাপা গোলকুণ্ডাহীরা
বার করে দিতে পারে খুচরোর ব্যাপারী ?

তার ক্ষত উপচিয়ে ফুল ফোটে
ক্রমে ঘুম পায়,
ঊনপঞ্চাশতম ব্যর্থতার বিষটুকু
মধ্যস্থতাকারী ۔۔۔
কাচের গোলকের মধ্যে ভাসমান মায়ামৃগ
দূরে কেউ অন্ধ হচ্ছে, দূরে কেউ বাড়িয়ে দিচ্ছে
নেশার কীট – কামেশ্বর,
রক্তের শেষ বিন্দুটুকু অবিকল নেই আর
ছাযাক্কে ছায়া, ছায়া দুগুণে ছায়া
ছায়া ব্যাপারীরা কেনে মনের ফাঁটল, শরীরতরু
রোদের কিনারা থেকে কাটা হাতের টুকরোটি
উড়ে যেতে যেতে ছায়া ফেলে
যৎসামান্য পানীয় বোতল সাথে নীল বরিহায় ۔۔۔

Facebook Comments

Leave a Reply