কৌশিক চক্রবর্তী-র কবিতা
ফিরে আসার নাগাল
বলতে বলতে এই ভুল হয়ে গেল –
রুমালে যেটুকু কাহিনি
সেটুকুই
একা হয়ে ঘুম কেনে।
দু একটা ফাঁকা চলে যায়। শূণ্যতায়
কারা যেন কান্না বের করে
খেয়ে নেয় লুকিয়ে লুকিয়ে –
চোখের শরৎ নিয়ে মাটি আসে গন্ধ আসে
রেশম ভাঙতে ভাঙতে আয়নার ঠাণ্ডা
শুনতে পায় – গুঁড়ো চশমার হলুদ সেলোফেনের কোরাস
নামের মিহিন মেখে ওইখানে
শুয়ে আছে বয়ে যাওয়া অসুখের প্যারাগ্রাফ
নদীর স্বাদু মেখে অনেকদিন তার ভাত খাওয়া হয়নি –
অনেকটা না ওড়ার কষ্ট নিয়ে
সে কেবল রোগা রাস্তায় একমনে চুপচাপ
ফিরে আসার নাগাল লিখছে
স্থানুর আদরে
এক একটা রাস্তা থেকে কেউ কেউ পা পায় –
স্থানু থেকে ছুটি হওয়া সাদা গেয়ে
অনেকগুলো বিন্ধু ঘরে ফেরে।
মুখের লাবণ্যে তিল
এক হলে ধারাদুধ
দুইয়ে দু’ধারা
তিন বাজলে উথলে ওঠে
হাসপাতাল ফেরত জানলা দিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে অসুখ
বাসি রোদ্দুর মেলে দেয়।
আলোদের পায়রা হাতে পেরিয়ে যায়
চেনা অচেনা মহল্লার ছায়ামঞ্জিল –
ডানায় ডানায় রোদ হওয়ার গন্ধে
অনেক দূরে তখন
একদল পরিযায়ী কষ্ট
মা হওয়ার খিদে নিয়ে এসে দাঁড়ায়
প্যাণ্ডেল বাঁধা নির্জন পাড়ার সামনে
Related posts:
Posted in: October 2020 - Cover Story, POETRY