জয়দীপ মৈত্র-র কবিতা

আতঙ্কের নির্মল স্ববিরোধ

১.

অবাক জলের বেলা অল্প অল্প মেঘ
বাড়িগুলো প্রথম বাড়ির রঙে ঝিমোয়

মৃদু ভয়ের চিঠি পড়াচ্ছ
সদ্য আসা অক্ষরে ম্রিয়মাণ কাগজ ঝুঁকে আছে

অনেক দূর যেতে দেখি ভয়
কুসুমের ভেতর এলোমেলো সব রচনা

পথে কীর্তনের রাত
হাসি ভেবে প্রসূতি দাঁতের চাঁদ
পরপর ওঠে

চিঠির চিন্তা হয়তো পালক
মাথার আকাশে মাথাধরা পাখি ডাকল

কুসুম কাঁচা হাতের লেখা তোমার
কুসুমের ঢেউ অন্ধের মত পরপর সাজানো

জল সেই দ্বিতীয় বাড়িটির রং

২.

জঙ্গলে হাঁটার মত আলোটুকু যথেষ্ট নয়
নয় অন্ধকারও

পুরনো তরমুজ আমরা এভাবেই আগলে রেখেছি

গাছের কোলাজ সাঁটিয়ে
ছায়ার কুয়াশা দোলে অল্প হাওয়ায়

নেহাৎ বর্ণনা নয় এতদূর বর্ণ হয়ে আছে
দৃশ্যের সমাপতন পাখি হয়ে ভাসল যেই
আমি ভুলে গেলাম উড়ে যাওয়া আলোর দিকে

কেন কালো আকাশে
ভবঘুরে রং ফুটে ওঠে

নাচে আগুন নাচে জঠর নাচে জগত মহাজগত
বারবার মহড়ায় ক্লান্ত করে আলো
ক্লান্তি শুধু আলোর দিকেই কি?

জঠরের শিখাগুলি পরস্পরের সাথে আবর্তিত

তুমি এক গ্রাস গোল
খালি পেট গোলাকার

Facebook Comments

Leave a Reply