জয়শ্রী ঘোষ-র কবিতা

পতাকা

আমি জানালা দেখতে দেখতে রোদ্দুর হই
ছড়িয়ে যাচ্ছে আলো
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝে, তোমার সিন্দুক থেকে বেরিয়ে আসে আশ্রয়
ধান ক্ষেত গুলো সবুজ
নরম তার মাটি
অনুরূপ খুলি, আমি তাপ নিই
পোশাক ভিজেছে, ভিজেছি আমিও
পতাকা দু-ভাগ হয়
প্রবেশ করি ভূগর্ভে

ভাদ্রমাস

দীর্ঘ হচ্ছে দিন, রাত্রি আর মাস
চোখের জল ভেঙে দু-টুকরো করেছিলে,
সেদিন ভাদ্রমাস
বাতাসে তীব্র হচ্ছিল তোমার ঘ্রাণ
তুমি মুসাফির
আমার মমিটি অহেতুক জেগে ওঠে
বারবার
আমি চিৎকার করি, বৃষ্টি থামাও
ভুলে যাই, ক মাত্রার ছিল সেই গান!
ভোরের বেলা কানে কানে বলে গেলে
ধরে নিই কোনো স্যাডো!
হৃদয়ের নৌকা ভাষাই
বসতের মেঘ ভেসে যায় উড়ে যায় বহু দূরে

কোলাহল

আমি শুধু চেয়েছিলাম একটা শান্তির ঘুম
আমি চেয়েছিলাম বাগান ভর্তি রঙিন ফুল

রঙিন ফুল গুলোই একদিন রক্তের লাইন কেটে মাংসের ভিতরে ভিতরে ক্ষত স্থাপন করে চলেছে, আমি ভীত

সারাদিন যে লোকটি বাগান বুনছে, তার হাতের চেহারা বিকৃত হচ্ছে তো হচ্ছেই
সূর্য রশ্মিতে ছিটকে পড়ছে ফুটন্ত আভা

একপাল খরগোশ শাবক ক্লোভার খাচ্ছে খুশিতে
একদল শিশু পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের পথে ছুটছে,
তাদের হাসির কোলাহলে শিশির ঝরছে

এসো আমরা বরফ হই

Facebook Comments

Leave a Reply