ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা

ব্যক্তিগত- ১৩৬

ভাঙা সা-রে-গা টুকরো কুড়িয়ে দেখি ,
তার গায়ে মৃত্যু লেগে । তার গায়ে
হয়তো সামান্য জীবনও লেগে আছে ।
কাটা আঙুল এবং স্তব্ধতার মাঝখানে
কাঁচুলির ঘুম ঘুম স্বর ।
একটু কাত হয়ে আলো ।
পড়বে কি পড়বে না ভঙ্গিতে । হাততালি দিলেই ।
বাসের পাদানি এবং মা’র আঁচল অল্প
বড় হয় , হয় কিছুটা রঙিন ।
কতদিন রাতে ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে
বাবাকে ঘুম পাড়িয়েছি । আজকাল রাতে —
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে আমি , শুইয়ে দিই
বাবার ছায়াকে ।

ব্যক্তিগত – ১৩৭

প্রতিদিন রাতে বইয়ের বিশ – তিরিশ পাতা
পড়ার পরও , একজন সারাবছর একইরকম থাকে ।
কোনো কোনও দিন সকাল বেলা ।—-
দেখি, স্বপন রাক্ষসের দাঁত মেজে দিচ্ছে ।
এই কোরোনার দিনে । আমি নিজের সঙ্গে নিজে
বেশি কথা বলি না ।

অনন্তশয্যার পরে পরেই থেমে আছে আলোর গুণ,
অন্ধকারেও । গড়িয়ে আসা রক্ত
হাওয়াই চপ্পল পরে পুবদিক হলো ।
সাদা বালি, সেলাই কলের অনুবাদ এবং লিপস্টিক ।—-
মুখে মাস্ক পরে রাস্তায় হেঁটে যায় ।
শাখা পরা একজন সানাই হেঁটে যায় ।

মৃত্যুর আগে যে আলো আছে ।
মনে হয় । —–
আজ, তার সাথে আমার বিবাহ ।

Facebook Comments

Leave a Reply