দেবাঞ্জন দাস-র কবিতা

আলোর ইন্দ্রিয়





৬.

এক ধান থেকে আর এক ধানের শিষ
মাঝে মাঝে উড়ে আস ফুলের রেণু
সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো কাঁদছে মেয়েটা
দাদা পাশে দাঁড়িয়ে নখ কাটছে দাঁতে
পাখিটা দৃশ্যগুলো পায়ে নিয়ে
                              খাচ্ছে খুঁটে খুঁটে
                              ক্রমশ উজ্জ্বল গাছগুলো
তারও পরে
প্রিয়জনকে ডাকার অবসরে
                   খোলা মাঠকে খুঁজে দেখি
                   দৃশ্য থেকে তখন ঝরে যাচ্ছে রেণু…

ক্লান্তিকে দীর্ঘ অবকাশ দেবে বলে
তালগাছ বড় হয়েছিল
এখন ঝরে যাওয়া রেণু খুঁজছে আমাকে

একদিন সব জন্মদাগ ছবিতে এঁটে যাবে
এই ভেবে আজও পুলকিত হই
রক্ত দেওয়া শেষ হলে যেমন খুশি হয় আপেল…






৭.

তোমাদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি অবধি চাষ হয়
আঁজলায় বাতাস নিয়ে নদী খুঁজতে খুঁজতে
হঠাৎই তীরে এসে শেষ হওয়া চোখ
পলকহীন
উলুস-ঝুলুস
এক বিঘা হাসি
এক বিঘা কান্না

সন্ধ্যাকে হলুদ ফিতেয় বেঁধে হারানো
চরাচর খুঁজতে থাকে
মনে করায়, বীজ আনার কথা ছিল
আত্মীয়তা হত খুব…
চাষ করব খুব…

বস্তুর এই অন্তহীন স্পর্শ থেকে
                  জগতের ওড়না-দোপাট্টা একদিন খুলে যায়
                  বাপ-ঠাকুর্দার লাঙলে রক্ত লাগে
                  মাটি দুরস্ত হয়
সামান্য চাষ থেকে যে দুনিয়া শুরু হয়েছিল
সেখানে পাখিরা অলৌকিক হয়ে যায় ক্রমশ…   

Facebook Comments

Leave a Reply