চয়ন দাশ-র কবিতা

ঝাঁক

আগুন লেগে গেছে পুকুরে। হাওয়ায় উড়ে উড়ে যায় কুঁচকে যাওয়া মাছের আঁশ। হাত পাতো, পায়ের পাতা থেকে হোচট খুলে স্কুলের কাছে নিরীহ হয়ে বসো। মানুষ জন্মের পর পৃথিবীতে নদীজন্ম বন্ধ হয়ে গেছে। আয়নার কাছে উঁচু চেয়ারে বসি। মাথা নিচু করি, চুলের চামড়া তুলে আমার পিছনে একজন দাঁড়িয়ে। ভেতরের প্রজাপতির চাক ভেঙে গেছে। আয়নায় দেখি ক্রমে নীলাভ হয়ে আসছি। সাদা তুলিতে কল্কা এঁকে প্রচ্ছদের ছবির আভা বিক্রি হচ্ছে। পায়রার বাসার কাছে মরা কাকের সাদা ঠোঁট। চেয়ার উঁচু হয়ে যায়। চানের বালতির নিচে ঘুমিয়ে কুঁকড়ে রয়েছে একটা সাপ। ওকে না জাগিয়ে মগ ডুবিয়ে রেখেছি। চানের শব্দে অব্যবহৃত গোঙানি গুলো মনে পড়ছে কিনা মনে করছি মনে পড়ছে না। বোতাম আঁটা মশারির উপর শীতল পেঁচা এসে বসে রোজ। চোখের সামনে ভারি হয়ে আসছে তার পা দুটি। অন্যদিকে হালকা হয়ে উঠে যাচ্ছে রঙিন কাগজের রথ। মেঝেয় এলিয়ে থাকা টিকটিকির চোখে আলো পড়ে গেছে। সঙ্গমের পর মেয়ে হাঁস দৌড়ে পালাচ্ছে । ছেলে হাঁসও দৌড়াচ্ছে, তার সাদা লিঙ্গের মাথা মাটিতে। আকাশে কালো মেঘ। মেঘ সংকুচিত হওয়ার সময় নেই। পাখিদের ডালপালা তর্মুজ ঝুলে রীতিমত শাখাপ্রশাখা জন্মাচ্ছে

মুন্ডু

গাছের মুন্ডু আলাদা হতেই
ছায়ার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসছে মানুষজন

সামর্থ্য অনুযায়ী হাত গজাচ্ছে তাদের
সেই হাত কসাইকে ধন্যবাদ দেওয়ার

মৃত্যু যতখানি উৎসবের, মরা ততখানি নয়

মরা খাসিকে অলস করে শুইয়ে রাখা
থুতনির নিচ চিরে যাচ্ছে

পৃথিবীর সব ক্ষয়ের ফিনকিগুলি শক্তকামী ও
আরামদায়ক

Facebook Comments

Leave a Reply