চৈতালী চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা

ভার্টিগো

বমি পায় বলে আমি খুব ঝুঁকে দেখি না কখনো। ওইসব
রাগ। কান্না। পেচ্ছাবখানার গান। মৃত্যু ও মিছিল।
এখানেই আস্তানা বানিয়ে নিয়েছি।
চমৎকার হাওয়া দেয়।
আলোবাতাসেরা খেলে।
খবরের কাগজ আসে না।
মেয়েরা ধুলোবালি হয়ে নীচে পড়ে আছে।
বীর্য পড়ে আছে।
থাক।…
আশ্বিনের রেণুকণা মেখে নিই গায়ে।
চিকণ থাকব।

রক্তস্রোত বহে যায়।
আমি ভাবি খোকাখুকু কোনও, আঁকছিল,
জলরং উপুড় হয়েছে বুঝি!
এত উঁচু থেকে কিছু স্পষ্ট হয়?
বলো

অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

রোজ ভোরবেলা আমি অচেনা গন্ধের মধ্যে জেগে উঠি।
একটা অচেনা বারান্দায় হাঁটিচলি।
তখন, কাজলটানা অচেনা আকাশ
মেঘ বার করে আমাকে ভেংচি কাটে ।
তারপর, অচেনা হাসিকান্নার ধ্বনি
শুনতে শুনতে,
আমি নই
কিন্তু আমার মতোই ঠিক,
অচেনা একজন,
বারবার, বারবার,
রান্নাঘরের
অচেনা নর্দমায়
চালধোয়াজল ফেলতে থাকে

Facebook Comments

Leave a Reply