অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

নোলকের দ্বিতীয়রূপ

এক।।

শুভেচ্ছা আর শোকের
মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি।

এমন হয় না
এসবের আর প্রয়োজন নেই।
প্রসব যন্ত্রণাও নেই কোন স্মরণ সভার জন্য।

দুই।।

প্রতিশোধের এই পরগণা গুটিয়ে নিতে নিতে
শুধু ফেরত চাই
আমার মরে যাওয়া গুলি

তিন।।

জিপার ছিঁড়ে বেড়িয়ে গেছে ঠোঁটের গন্ধ

ভুলে যাওয়া বলে কিছু নেই আর

হাওয়ার সাথে কথারাও উড়ে বেড়ায়
পাতার আসেপাশে

চার।।

বিজ্ঞাপনেও ফিরে আসছে অসুখ
কুয়াশায় ডুবে যাওয়া হাত দুটো
আবছা হয়ে গেল

তবু তাকিয়ে থাকি

ওদের সাথেই কথা বলতে এখন ভাল লাগে

পাঁচ।।

চিহ্ন কোন আমোঘ ছাপাখানা নয়

সমস্ত শ্লোকই সিঁদুর থেকে কপাল বাদ রাখে

বিবাহের মাছ শুধু রেখে যায় তাক লাগা শহর

জরুরি বদল

আর এই দৃশ্য অধিকার

ছয়।।

কিছু শব্দ এখনো শেষ হয়নি

আদমশুমারী যখন চলে যাচ্ছে ভূটানের দিকে
সামান্য কিছু প্যাস্টেল রাখা থাকলো
মেয়েটার জন্য

সাত।।

সমস্ত রাত্রিটা পথিকের মত হয়ে যায়
ভীষণ ঘুম আসে

শুধু হাঁটতেই ইচ্ছে করে আরেকটা ভোরের জন্য

আট।।

বরফের কাছে তখন কিছু চাওয়ার ছিল না

বরফ আমাদের ঘর শিখিয়েছিল আগুন জ্বালিয়ে

নয়।।

ইশারার শেষে নদী আঁকা হল না
গাভীন হয়েও তুমি বলতে পারোনি

এই জনপথ রক্তের প্রসব সুখ
ফলকের লাগোয়া সরণী

দশ।।

ছেলেবেলার ছায়াগুলিকে এবার টাঙিয়ে দাও
আমানত নস্যাৎ করো বিবাদের ইচ্ছে মত।

Facebook Comments

Leave a Reply