অনিন্দিতা গুপ্ত রায়-এর কবিতা

একোয়ারিয়াম

দুই

ডুবে যাবে জেনেই নুড়িটিকে ছুঁড়ে ফেলেছ। স্থির হয়ে যাবার আগে দু একটি তরঙ্গ জলতলে, নিয়মমাফিক।
থিতিয়ে আসা অবধি সামান্য আলোড়নচিহ্ন। হাওয়ার ডিগবাজি
থামলে অস্বচ্ছ জলের ওপর মরা মাছগুলো ভেসে উঠবে এরপর।
বোকা পানকৌড়ি ডানা শুকোতে বসে
অবাক হয়ে ভাববে
জলের অপর নাম কি তবে মৃত্যুও?

এক

অথচ নুড়িটির ডানা ছিল। তারপরও হাতের তালু থেকে ছুঁড়ে দেওয়ার মুহূর্তে ও উড়ল না।
গভীরতার দিকে গেল, অতলে
দুদণ্ড স্থিরতার কাছে মুখ রেখে আলোড়ন শুনে নেবে বলে, ক্ষতমুখ ধুয়ে নেবে বলে। ঘাড়ের কাছে বঁড়শী
প্রশ্নচিহ্নের মত অবিকল, ঝুলে আছে, ছুঁয়ে যাচ্ছে। ডানা ভাঁজ করে নিজেকে
বদলে নিতে নিতে কখন যেন শিকড়বাকড় ছড়িয়ে যাচ্ছে গর্ভের ভিতর। মাছেরা ঠোক্কর মেরে ফিরে যেতে যেতে
নিজেদের মধ্যে বলে নিচ্ছে অবাক রূপকথা—অনেক অনেকদিন আগে
এক যে ছিল কাচঘর আর ছিল এক নুড়ি….

Facebook Comments

Leave a Reply