বিশেষ্য কবিতা : অনিন্দ্য রায়

যদি কবিতায় ব্যবহার করা যায় কেবল একটিমাত্র ব্যাকরণগত পদ তো আমি বেছে নেব বিশেষ্যকে।
ন্যূনতম কবিতার শর্ত যদি হয় ন্যূনতম শব্দ ব্যবহার আর যদি তা ন্যূনতম ব্যাকরণগত পদের ব্যবহারকে অনুমোদন করে, বেছে নেব বিশেষ্যকে।
কেন বিশেষ্য? কেন বিশেষ্যই?
নামপদ, কোনও বস্তুর, গুণের, মূর্তের বা বিমূর্তের নামই তো বিশেষ্য।

“যে শব্দে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, ধর্ম, অবস্থা, কার্য, সমষ্টির নাম বুঝায়, তাহাকে বিশেষ্যপদ বলে ।
বিশেষ করিয়া বলা হয় বলিয়া নামটি বিশেষ্য। আর, একটিমাত্র শব্দের দ্বারা কাহাকেও বিশেষ করিতে হইলে তাহার নামটি বলা ছাড়া উপায় নাই। সুতরাং ‘বিশেষ্য’ কথাটির অর্থ হইতেছে
কোনও কিছুর নাম।”

বামনদেব চক্রবর্তী/ উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ

এই বিশেষ করে বলতে গিয়ে ওই একটিমাত্র শব্দে যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তার গঠন, গুণ ও ক্রিয়া সর্বাধিক যতটা সম্ভব নামের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করা যায় প্রয়াস থাকে সেটাই। কিন্তু আকর বিশেষ্যটি মাত্র নয়। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তাকে প্রয়োগ উপযুক্ত করে নিতে হয়।

“এই ধরণের শব্দ বিভক্তিযুক্ত হইয়া বাক্যে প্রযুক্ত হইলেই তাহাকে বিশেষ্যপদ বলে।”

বামনদেব চক্রবর্তী/ উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ

অন্যন্য পদগুলির ব্যবহারও বিশেষ্যকেন্দ্রিক। বিশেষ্যকে রিপ্লেস করার জন্য সর্বনাম, তাকে বিশেষায়িত করার জন্য বিশেষণ, তার কার্যকলাপ বর্ণনা করতে ক্রিয়াপদ। অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজেকে স্বাধীনভাবে প্রকাশের ক্ষমতা সব থেকে বেশি বিশেষ্যেরই।

প্রতিটি বিশেষ্যর গায়ে লেগে থাকে তার সংস্কারগত অর্থ। ‘গোলাপ’ বললে আমরা শুধু একটি নির্দিষ্ট ফুলকেই বুঝি না, তার আকার ও গন্ধের আভাস পাই সেই সঙ্গে। ফুলটিকে ঘিরে তৈরি হওয়া মিথ আমাদের মনে অনুভূতিও জাগিয়ে তোলে। ‘গাড়ি’ বললে তার চলমানতার ধারনা পাই একইভাবে। বিশেষ্যই পারে কোনও কিছুকে বিশেষভাবে ব্যক্ত করে তাকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে, একটি বাক্য কোনও অবিশেষ্য শব্দ ব্যবহার না করেও গঠিত হতে পারে। এই ভাবনা থেকে বিশেষ্যকবিতা, নাউন পোয়েট্রি।
একটা নামের পর আরেকটা, তার পর আরেকটা, তাদের পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্কে যে কাব্যিক অভিধাত তৈরির সম্ভাবনা রাখে তা বিশেষ্য কবিতার মূল ভাবনা। যেভাবে একটি স্টিল ফটোগ্রাফ হয়, যেভাবে একজন পেন্টার স্টিল লাইফ আঁকেন, অবজেক্টগুলো কম্পোজ করা হয় নির্দিষ্ট ভাবে আর তা তৈরি করে অনির্দিষ্ট অর্থ। ভাষাগতভাবে অবজেক্ট তো নামই, বিশেষ্য। যেখাবে শিল্পী বিভিন্ন টুকরোকে এক জায়গায় জোড়া লাগিয়ে তৈরি করেন কোলাজ বা চলচিত্রে ব্যবহার করা হয় মনতাজের টেকনিক, বিশেষ্যগুলির অবস্থান তৈরি করবে কবিতাকে।

‘একাধিক ইমেজ শট বা দৃশ্যাংশকে গ্রথিত করে যখন উপাদান অতিরিক্ত কোনো ভাবনা সৃষ্টি করা গেল তখন তার নাম মনতাজ।… মন্তাজ হল পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা আপাত সম্পর্কহীন দুই বা ততোধিক উপাদান একট করে নতুন কোনো একটি ভাব সৃষ্টি যে সৃষ্টিতে অবশ্যই ঘাতের পরিবর্তন ঘটবে। অর্থাৎ একাধিক চিত্র মিলে একটি ভাবের ও একাধিক ভাব মিলে একটি অনুভূতির জন্ম।’

ধীমান দাশগুপ্ত / ইমেজ, কম্পোজিশন ও মনোতাজ/ চলচিত্রের টেকনিক ও টেকনোলজি

বিশেষ্যগুলির ইন্টারঅ্যাকশনে যে ব্যঞ্জনা তৈরি হবে তা বিশেষ্যগুলির ব্যঞ্জনার যোগফলের থেকে বেশি।

ক + খ > (ক+খ)

ভাববাচক বিশেষ্য (abstract noun)–এর ব্যবহার কবিতাটিকে বিমূর্ততাও দেবে। ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য (verbal noun) নিয়ে আসবে ক্রিয়াশীলতাকে, সরিয়ে রাখবে ক্রিয়াপদকে।

বিশেষ্যর সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিভক্তি যোগ হতে পারে, প্রয়োজনে তাকে সমন্ধপদ বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু শব্দটি বিশেষ্য হিসেবেই ব্যবহৃত হবে।

“পরবর্তী বিশেষ্যের সহিত কোনো সম্বন্ধ থাকিলে ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তিযুক্ত পুর্ববর্তী বিশেষ্যপদকে সম্বন্ধপদ বলা হয়।”

বামনদেব চক্রবর্তী /  উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ

শুধুমাত্র বিশেষ্য দিয়ে রচিত যে টেক্সট তার সাহিত্যিক অভিজ্ঞতা বাংলা ভাষায় বেশ পুরোনো।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় প্রথমভাগে
‘অজগর আনারস ইঁদুর ঈগল উট ঊষা …’–র সাধারণ উচ্চারণ থেকে যখন তা দ্বিতীয় ভাগে ‘ঐক্য বাক্য মাণিক্য’-র অনুপ্রাসে অন্তর্লীন অর্থব্যঞ্জনা (ঐক্যবদ্ধভাবে বলা বাক্য মাণিক্যতূল্য)
নিয়ে আসে তা আর কেবল কয়েকটি নামশব্দের পরপর ব্যবহারটুকু থাকে না।

এবং রবীন্দ্রনাথ, তাঁর রচিত আমাদের জাতীয় সঙ্গীত যদি আমরা খেয়াল করি তো দেখব তার অনেকটাই বিশেষ্য দিয়ে রচিত।
বাংলা কবিতায় মূলত বিশেষ্যকে নিয়ে লেখা কবিতার উদাহরণ যথেষ্টই। হয়তো কিছুকিছু অবিশেষ্য শব্দও ব্যবহৃত হয়েছে কখনও। শুধুমাত্র নামগুলি পরপর নয়। তাদের মধ্যে সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছে।

“চোখ
নীচে ক্লান্তি
ভেতরে ভয়
পাতায় ভালোবাসা।”

ঈশ্বর ত্রিপাঠী / ঋক্‌ অথবা শায়েরী, ১

সম্বন্ধপদ ও অবিশেষ্য শব্দগুলি বিশেষ্যদের মধ্যে জোড় লাগানোর কাজ করে, কবিতার অর্থ-সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

“গভীর রাত
তীব্র গতি
খড়ের গাড়ি
গরুর চোখ
গাছের গুঁড়ি
খড়ির দাগ।”

সুভাষ মুখোপাধ্যায় / দ্রুতি

‘গভীর’ ও ‘তীব্র’ – এই দুটি বিশেষণ বাদ দিলে কবিতাটি বিশেষ্য দিয়েই রচিত, যদিও কয়েকটি সমন্ধপদ।

“হাড়। নিঃশ্বাস। লৌহ শলাকা।
সাধারণ পথ।
ছাই, নদীখাত
শুকনো, দগ্ধ।
কালো ছাইঢাকা
চোখ”

জয় গোস্বামী / ধ্বংসভূমি

কিছু বিশেষণ আর মূলত বিশেষ্য দিয়ে রচিত এই অংশটি আছে ‘গোল্লা’ কাব্যগ্রন্থে। ওই বইয়ের আরেকটি কবিতা যার নির্মাণপদ্ধতি একই

‘পতঙ্গ। নীল পতঙ্গ। কালো
ঘাস।
জলকাদা।
কাদাজল।
এবড়ো খেবড়ো মাটি। খোঁচা খোঁচা
ঘাস।
বস্তায় বাঁধা লাশ।’

জয় গোস্বামী / জলকাদা

কবির অন্য লেখাতেও এই প্রবনতা পেয়েছি, যেমন একটি কবিতায় তিনি রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যা দেখছেন, পেরিয়ে যাওয়া মানুষজন, পাশের সাইনবোর্ডের বিবরণ দিচ্ছেন

“….
নিউ ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়
স্টেট ব্যাংক ( রানাঘাট শাখা)
ওয়াচ কোং, নতুন বাজার,
বাণী স্টোর্স, তারক ফার্মেসী
স্কুল কলেজগামী ছেলেমেয়ে
ছুটন্ত অফিসযাত্রী দল
ছবিঘর, মলিনা টকিজ
শেষদিন একান্ত আপন
চলিতেছে অনুরাগের ছোঁয়া
আগামী শুক্রবার থেকে
মিঠুন শ্রীদেবী অভিনীত
ঝিংচাক, ঢিসুম ঢিসুম
ভালোমন্দ ভালো কম বেশী
বনবালা গার্লস হাইস্কুল
বিশুদার কোচিং সেন্টার
শিবহরি উচ্চ বিদ্যালয়
….”

জয় গোস্বামী / বরষাবন্দনা

যে চলমান দৃশ্য নির্মিত হচ্ছে এখানে তাতে বেশির ভাগ শব্দই বিশেষ্য।
দৃশ্যকে তৈরি করতে, কোনো বিশেষ সিচুয়েশন বানাতে, বিভিন্ন নামপদ পরপর বসিয়ে কবিরা আমাদের পাঠ ক্রমশ বিশেষ্য কবিতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
কখনও কবিতার ভাবনা বিভিন্ন বস্তুনামকে ধরে ধরে এগোয়। অন্যান্য পদগুলি আসে নামগুলিকে ভিত্তি করে আবার কখনও তারা আঠার মতো বিশেষ্যগুলিকে আটকে রাখে ভাবনা-কাঠামোর সঙ্গে।

“উড়ন্ত যাঁড়, গজসিংহমুখ
শিশুকঙ্কাল, সাগরে অনল
ফলবান মাছ, কাপড়সারস
পিয়াসী শস্য,মরুনৌযান
জন্মবিজন তৃষামন্দির
….”

উৎপলকুমার বসু / সলমা-জরির কাজ, ৪

‘শ্রুতি’ আন্দোলনের কবিদের মধ্যে অন্য অনেক নতুন প্রবণতার সঙ্গে কবিতা থকে অতিরিক্ত শব্দ বর্জন করে বিশেষ্য-নির্ভর কবিতা লেখার ঝোঁকও লক্ষ্য করা যায়।

“টুথপেস্ট। সাবান। তোয়ালে। চা। টোস্ট। সিগারেট
পাইপ। সিগার । ট্রেন। ট্রাম। বাস। ব্যাকরণ।
ঠাট্টা-ইয়ারকি। টেলিফোন। সাহিত্যের ইতিহাস।
সিগারেট । পাইপ । সিগার । চা । জর্দা-পান । মা ।
দোকানবাজার। বাড়ি। বউ। তারপর । ঘড়িতে
এলার্ম। তারপর। তোয়ালে সাবান টুথপেস্ট। টোস্ট চা।
সিগার পাইপ সিগারেট। পিঁয়াজের খোসা ছাড়াতে
ছাড়াতে সবটাই পিঁয়াজ। আর পিঁয়াজের খোসা । হরতন
রুইতন চিড়িতন ইস্কাপ। রুইতন চিড়িতন ইস্কাপন হরতন।
তারপর। তারপর । তারপর ….”

সজল বন্দ্যোপাধ্যায় / ভ্রমণবৃতান্ত

‘ছাড়াতে ছাড়াতে’ এই ক্রিয়াপদ, ‘আর’ এবং ‘তারপর’ অব্যয় দুটি বাদ দিলে এই কবিতার বাকি সব শব্দই বিশেষ্য। তাঁর আরেকটি কবিতায় বিশেষ্য ছাড়া অন্য কোনও পদ নেই।

‘ফুল
গন্ধ
হাওয়া
নেশা
ঘুম’

সজল বন্দ্যোপাধ্যায় / মিড় – ২২

‘শ্রুতি’ আন্দোলনের অন্যতম কবি পুষ্কর দাশগুপ্ত তাঁর লেখায় অন্য সমস্ত পদ সরিয়ে রেখে কেবল বিশেষয় দিষেষ্যেকটি কবিতাকে নির্মিত করেন। হ্যাঁ, একটি পুর্ণ কবিতা।

‘রাস্তা
বাস
ট্রাম
গাড়ী

রাস্তা
ফুটপাত
দোকান
আলো
চিৎকার

রাস্তা
ফেরিঅলা
মানুষ

রাস্তা
রাস্তা
রাস্তা’

পুস্কর দাশগুপ্ত / রাস্তা

একটি প্রকৃত বিশেষ্য কবিতা। বাংলা ভাষায় এটিই প্রথম কি?

এক নতুন সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা, নাউন পোয়েট্রি, বিশেষ্য কবিতা বা নাম কবিতা। শুধু বিশেষ্যটুকু, না তাতে বিভক্তি যোগ করবেন সে সিদ্ধান্ত কবির নিজস্ব। আর সমসাময়িক ভাষায় ও সাহিত্যে বিশেষ্য-বিশেষণ-ক্রিয়াপদ নির্দিষ্ট খোপে খোপে ব্যবহৃত হয় না। ‘নীল’ শব্দটি বিশেষণ হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হয়, হতে পারে একটি রঙের নাম হিসেবেও। এখানে ব্যবহার হবে কেবল বিশেষ্য হিসেবেই।

কোনও সীমাবদ্ধতাই স্বীকার করেন না কবি। ভাবনার, কল্পনার, ভাষার, পার্টস অফ স্পিচের, প্রকাশভঙ্গীর, আঙ্গিকের সমস্ত লিমিটেশন পেরিয়ে যেতে চান তিনি। পেরিয়ে যানও। জেদ করেন যে কোনও ধরণের কাব্যিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে, তাকে অতিক্রম করতে। সেরকমই একটা চ্যালেঞ্জ শুধুমাত্র বিশেষ্য দিয়ে, concrete বা abstract যে-কোনও কিছুর নাম দিয়ে, যে-কোনও ধরণের বিশেষ্য দিয়ে রচিত কবিতা যা সবরকমের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে প্রকৃত কবিতা হয়ে উঠবে।

………

তেরো নদী

অশ্রু
লালা
রক্ত
লসিকা
স্বেদ
পিত্ত
শ্লেষ্মা
পূয়
মেহ
বমি
বীর্য
রজ
মন

হাতের তাস

ইস্কাবন: প্রেম, প্রকৃতি, প্রতিবাদ
চিড়িতন: আত্মকথা, কৌতুক, দর্শন
হরতন: গণিত, জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, ইতিহাস
রুইতন: লোকাচার, ছায়াছবি, পরাবাস্তবতা

বিশ শতকের ছাপাখানা

সীসা, কাগজ, কালি, অন্ধকার, শ্বাস, চুম্বন, জ্বর, ধাক্কা, আর্তনাদ, হত্যা, ধুলো, ঊর্ণা আলো

কাহিনি

কাব্য

তেঁতুলপাতায় সুজন

সংগঠন, শ্বাস, সংবহন, পুষ্টি, প্রতিরক্ষা, রেচন, গমন, সহযোজন, জনন

প্রেমিকারা

জল
নীর
পানি
অপ
উদ
বারি
অম্বু
ইরা
ইলা
পয়
উড়ু
তোয়

প্রতিকৃতি

বেগুনি: ক্রোধ
নীল: অভিমান
আসমানি: বিষাদ
সবুজ: ঈর্ষা
হলুদ: বন্ধুত্ব
কমলা: উল্লাস
লাল: ভালোবাসা

সাদা: অনিন্দ্য রায়

ফেসবুকে ‘কবিতাডিহি’ গ্রুপে শুধুমাত্র বিশেষ্যপদ ব্যবহার করে কবিতা লেখার একটি প্রস্তাব রাখি ২০১৬ সালে।
আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন এই আঙ্গিকে লিখতে আগ্রহী হন। তৈরি হয় ‘কবিতাডিহি নাউন পোয়েট্রি’ নামে আরেকটি ফেসবুক গ্রুপ।
ওই বছরেই ‘কবিতা পাক্ষিক’ পত্রিকায় আমার কয়েকটি কবিতা মুদ্রিত হয় যেগুলিতে বিশেষ্য ছাড়া আর কোনও পদ ব্যবহৃত হয়নি। ২০১৭-য় ‘কারনেশন’ ওয়েবপত্রে আমার এই জাতীয় আরও দুটি কবিতা প্রকাশ পায়।
২০১৭-তেই ‘অন্যন্যা’ পত্রিকায় ‘বিশেষ্য কবিতা: একটি প্রস্তাবনা’ শিরোনামে একটি গদ্য লিখি এবং ২০১৮-য় ‘কবিতা করিডোর’ ওয়েবপত্রে লিখি ‘বিশেষ্য কবিতা: স্মৃতি ও ভবিষ্যৎ’ নামে আরেকটি আলোচনা।

বিশেষ্য কবিতা নিয়ে কিছু কথা ও আমার কয়েকটি বিশেষ্য কবিতা এখানে সংকলিত হল।

Facebook Comments

Leave a Reply