অহনা সরকার-এর কবিতা
পাঁচ
বাউল।
সন্ধ্যে তার ডাকনামে রেখেছে
বিড়ালের সাথে বিধাতার দেখা হয় না। তাই সে অচেতন
নিঝুম ডালে। এ ডালটারই নাম
জীবনানন্দ
খুঁজে পেলুম না। ছড়ানো পা। নিচে ববি প্রিন্ট
কূল
আলমারি খোলার ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হচ্ছে।
মতে
অমিল আমরা
মাথা চুলকালে পরের গদ্য। গুছিয়ে রাখা ব্যাগ
অম্বলের ঢাকনি
আর একটা কৌটো থাকছে বিস্কুটের
“হবে তো?”
বিমলা জানলা ছেড়ে বহুদিন বারান্দায় নামেননি। টিয়া আজ বারোমাস মৃত
এমনই
কল্পনামাসি আমাদের বাসন মাজতেন, তার তিন মেয়ের বিয়ের পর। ডান পায়ে কুষ্ঠ ছিলো, ছোঁয়াচে নয়, তাও দেখতাম বাবা সিঁড়িকাঠের ঘর তার নিচেই লোহার গ্লাসে গরম চা, কল্পনা মাসি ঠিক দুটো বিস্কুট খেতো, তিন চার রকমের, কখনো একটা পটল তো দুটো মুড়কি আর তেলেভাজার সাথে পাঁচসিকের চিনি। সিকে পয়সা তখন আর নেই তাও ওমনই বলতো। দিনের বেলা মাথা ঘোমটায় ঢেকে! একদিন দেখি বিড়াল পায়ের ঘা টা চাটছে! নখ দিয়ে বেশ খানিকটা আঁচড়াও! কল্পনা মাসি নেই তারপর থেকে! শূন্য জাস্ট
বাবা বলে বিড়ালটা নাকি ধুঁকতে ধুঁকতে এক সকালে সেদিন মেঘ করেছিলো খুব সামনের বারান্দাটায় ক বার ডাকলো, তারপর! কোনো গলা চেরা শব্দ নিঃশ্বাস! দাদা ওর লেজটা ধরে পাতালদের বাগানে ফেলে এসেছিলো
আচ্ছা বিড়ালের কি কুষ্ঠ হয়? বা ভূত? কদিন ধরেই দেখছি, আমাদের সামনের উঠানটায়, মা যেখানে প্রতি দাসবাসের পর এক ঘড়া জল আর ঠাকুমার ইঃ! ওখানটা, বিড়ালটার ডান পায়ের মাঝের আঙুলে ঘা! মাঝে মাঝে চাটে, আর সারা উঠান ঘুরে ঘুরে ওর ডাক! আশ্চর্য হচ্ছে দাদা বাবা মা কাকান ঠাকুমা কেউ শুনতে দেখতে কিচ্ছু পায় না! কেবল আমি! কেন
কিছু বলতে আসে চাওয়া জানাতে!
তবে সারারাত জল চায় নকল স্বরের গলা ভেতরের কাঠ কড়িকাঠ
মধুমামা পাহাড় থেকে পড়ে যখন মরে গেলো, সবাই বলেছিলো অ্যাক্সিডেন্ট নয় মার্ডার। সে যাই হোক, মধুমামাও এখানে আসতো, আসে ওই বারান্দাটাই। সারাদিন বসে বসে বিড়ি! আঙুল পাকিয়ে নকল ধোঁয়া ছোঁয়া
এমনই হয় মরে গেলে মরার পর! সব্বার!
আমিও হবে! যাবে দেখা! কে দেখবে!
পরের সকালটাই রোববার জানতাম না ঘুম ভেঙে বিকেলের মাঠ হাসি আমার পাশেই ওর সাইকেলটা পড়ে গেছে সব্বাই মিলে এখন
হেঁইও হুঁ হেঁইয়ও
Posted in: October 2020 - Cover Story, POETRY