ওয়াহিদা খন্দকার-এর কবিতা
দুর্যোগ নিয়ে ফেরা
বাইরে প্রবল ঝড়।
ভেতরেও আশঙ্কাজনক তোলপাড়।
কিন্তু তার ভেতরেও চলে হাতুড়ির ছয়চাষ…
যার সুর ঋতুর নীচে তিথিয়ে পড়া স্মৃতির মতো।
একটা পাশফেরা নির্জনতা খুব প্রয়োজন।
যাতে উপচে পড়া আলোগুলি
শরীরে আলপথ খুঁজে না পায়।
যাতে ঘুমিয়ে থাকা রোমকূপ চোখ খুলতে পারে।
ছাই দিয়ে তৈরি হতে পারে
দলিল দস্তাবেজ অথবা পান্ডুলিপি।
আর দিনের বাস্তবেও
কুয়ো থেকে তোলা যায় বালতি বালতি নিজেকে।
বঞ্চিত
শুধু জোছনা পেলে দেহের রঙ বদলায় না
প্রচন্ড দাবদাহেও নিজেকে চিনে নিতে হয়।
যাদের গোলা ভরা ধান,ছাদ ভরা জোছনা,
উঠোন ভরা মুক্তো…
কাকেরা মাঝেমধ্যে খই ভেবে ভুল করে।
ঝিনুকের ঝলসানো শরীর দেখতে যাদের নোনাজল পাড়ি দিতে হয়নি।
ভাতের ফ্যানে খুঁজতে হয়নি চাঁদের রস।
তারা বুঝতে পারে না প্রহরের পর প্রহর কাটাতে দিনকে কতটা নিঃস্ব হয়।
Posted in: POETRY, September 2020
ভালো লেখা