শুভ্রনীল চক্রবর্তী-র কবিতা

অশরীর ককটেল পার্টি





গন্ধক মিশে যাচ্ছে বায়ু রন্ধ্রে
শেতাম্বর গ্রহণ
সব দেখে পাশ ফিরে পিপড়ের শাড়ি গোনা
কল্পিত বিহ্বল
স্নায়ু প্রদয়ে
অযান্ত্রিক মনস্তত্ত্ব

খোলসের গায়ে বাদামী রং অথবা শিরীষ এর বাকল
গিরগিটি অক্সিজেন খুঁজছে রামধনু বানাবে বলে
শারাশি দিয়ে যন্ত্রণা
একটার পর একটা বরফের উপর
                               উপচে পড়ছে

হাঁস গুলো এখন রাতের বেলায়েও ঘুরে বেড়ায়
ককটেল পার্টি অশরীরীর টেবিলে
সব দেখছি শুয়ে শুয়ে
আমার ঘুম পাচ্ছেনা
         আমি বারবার পাশ ফিরছি
                 বাদামী মাখার সওগাত

আগের ফাল্গুনের গন্ধক
    বায়ু রন্ধ্র
           থেকে
আমার স্নায়ু বরাবর ঝরে পড়ছে
শরীর কোমার লাস্ট স্টেজে
আত্মা অশরীর ককটেল টেবিলে ।।




শীতল কনভেকস মেট্রিক্স






একটা অসম্ভব নির্জনতা চারিপাশে
               —- ক্রমশ শীতল আবরণ
                      শামুকের লালারস
কোথাও শিক্ততার মাত্রা নতুন সময় গঠন করছে
                  ম্যাট্রিক্স এর সেল ভ্যালু শূন্য
ফেলে আসা ঝড়ে পড়ছে দেওয়াল চুনে
          অবরুদ্ধ, একমুখী, কনভেক্স
   সবকিছুই তো দিনের সন্ধ্যা গায়ে ___   লজ্জা নিবারণ।                                 জীবনের সংজ্ঞা।


আজ সবাই নেই, কেউই নেই  
একা আত্মা আনন্দমেলা
একসময় সমুদ্রের পাড়ে সভ্যতা বসেছিল
আজ মৃতদেহটা পড়ে আছে  শামুকের খোলসে
            ক্রমশ শীতল কনভেক্স নেশায়

Facebook Comments

Leave a Reply