অনিন্দ্য রায়-এর কবিতা
আকাশে রাত্রির মতো অসংখ্য বাদুড়
১
আকাশে রাত্রির মতো অসংখ্য বাদুড়ের স্তন
এখনই ছুঁয়ো না সিন্ধু, আরেকটু লবণাক্ত হোক
বালির গর্ত থেকে বেরিয়ে আসুক
আগে আপামর কীট
তবে তো খেলার মজা, সুখ-অসুখ, স্নায়ুর হিল্লোল
হলিডে হোমের শয্যা, চুমু আর চাদরের ফাঁস
ফেলে যে পালিয়ে যাব
প্রতিটি দরজার কাঠ আন্তরিক, যৌনকপট
২
খাঁড়ি ও পিঙ্গল অশ্ব— সমোচ্চারিত এইখানে
আর তুমি জলের অচ্ছ মোজা পায়ে
সদ্যোজাত, অপিচ দর্পণ
আমরা দর্শকমাত্র, তলের অপর পারে যেতে পারব না
বিম্বের দুই টিলা, মধ্যে নির্গত হয় একপ্রকার চাঁদ
ভুবন উলটোদিকে, তারও আছে উপগ্রহ
শ্বেত ও লোহিত
নিষেকের তাড়নায় পরস্পরকে ধাওয়া করছে আকাশে
৩
লিচুপাতা, আধটি শুক্তিকা
বৃষ্টির শেষে তার ডগায় ফোঁটার চারু
অনঘ ক্লোজ-আপ
ভেঙে যাচ্ছে রোদের পশ্চিম
রশ্মি ধরে যাই
বিম্বের নিহিত রেখা… চরম
ক্রিসক্রস
নাভিদূরত্বের পর
লিচুর ছালের মতো গুটিদার ও গাঢ় কপিশ
মুক্তোর করঙ্ক, ডালা-ভাঙা
বুঝি, নিজেই ডাকাত
৪
বালিতে উপুড় শঙ্খ, কিংবা ধরো, মূলাধার
বায়ু তাড়িত হচ্ছেন, সাগরে লুটায় জিভ,আদ্যোপান্ত
সুড়সুড়ি লাগে
তিন নদী, মধ্যে জেগেছে চর
ঘাসমাটির আড়ালে বেদি, নীচে ধাতুর সিন্দুক
স্পর্শে বেজে ওঠে আর ফুঁ দেন স্বয়ং
কিছু দূরে, ঝাউবনে শুয়ে আছ বাতিল নৌকোয়
আর ডাকছ আমাকে
৫
ওই চিহ্নের জিরেন সিঁড়ি, সর্পরজ্জু রাখা মাঝখানে
তাকে যে ডিঙিয়ে যাব, বিবর্ত করব
চঞ্চলতা অতদূর পারংগম নয়
আলো ও বস্তুর ত্বক দেখে শিখি অধ্যারোপ
আর অপবাদ
এমনকি জলের দাগ বীজকোষে মোছে না কখনও
আমার আলিঙ্গন, আমার নর্মের সাধ
চতুর্দশ ধাপে দাঁড়িয়েছে
যদি উঠে আসতে পারো, নেমে যেতে পারো
যদি সব সংঘর্ষে শূন্য গুণিতক
৬
শরীর বয়াম, তার ঢাকনায় ষোলোখানি প্যাঁচ
আচার বেখেছ, লালা ঝরছে প্রসঙ্গে, বাহিরে
ভেতরেও বাষ্প উঠছে, উভয়ত লোভ
রোদে দিই, তুলি
কখনও প্রেরণা পেয়ে প্রচণ্ড ঝাঁকাই
আমের টুকরোর গায়ে নৈমিত্তিক গুড়
আরও মাখামাখি হয়
কাচে আমার মুখের বিম্ব ইঙ্গিতে আমাকেই ডাকে
ক্ষুধা ও নিবৃত্তি নিয়ে রসাতল স্পর্শ করলাম
Facebook Comments
Posted in: POETRY, September 2020