অনীক চক্রবর্তী-র কবিতা

অপরজন

তোমার নির্বাসন তোমারি ক্ষণকাল
একান্তে।
হয়তো কোনো আর্দ্র দুপুরের চুপকথায়
বা ঘুমরোদের বিকেলে
এক খাতা শাদা পাতায়
এক ফালি স্মৃতির।

আমার একাকিত্ব
আমার নয় একার
যারা ছিলো থুবানের ধ্রুবপদে
চর্যার অনুষ্টুপ আবর্তনে
তাদেরও
এবং যাদের জন্য
প্রতীক্ষায় সিফেয়াস
তাদেরও। জেনে রেখো
আমার নির্বাসন জন্মান্তরে
জেনে রেখো
আমার নির্বাসন অরন্যের অভ্যন্তরে আমাদের
জাতিস্মরের জাগরণে।

এই বলে নর্দমাটা রাতকপাট নামিয়ে সূর্যটাকে লেলিয়ে দিলো
ব্যস্, দৌড় দৌড়…….
তারপর থেকে আর খুঁজেই পাচ্ছিনা
লাল জামার ছায়াটাকে।।

অভ্যন্তরে

শুধুমাত্র কবিতায় ছবি আঁকবো বলে হারিয়ে গেছিলেম সমুদ্রের গভীরে তার
নোনতা হৃদয়ে।

কাকভোরে খুঁজে পেলেম
আমার পরিচয়

আকাশ চোখে
শুধুমাত্র কবিতায়

ছবি আঁকবো বলে

কাজ্লা মেঘের
আঁজলা জলে।

জীবাশ্ম এক রাত

চামড়ায় দাগ বসানোর খেলায় নেশা জাগে। যেমন ধরো
নিখাদের রক্তে

সরোদে।
রাত্তির জেগে উঠলে কৌশিকানাড়ায়
এ পাড়া
উথ্লে ওঠে

পোড়া চামড়ার গন্ধে। আরো চড়া সুরে
টিমটিমে হলুদ আলো

পরিযায়ীর নীল নীড়
অতি-বিলম্বিত
ধামারে
হেসে ওঠে
শতাব্দীর ক্ষয়ে যাওয়া কণ্ঠার হাড়

মাটির চুম্বন খেতে খেতে
কালো কালো রস জমে উঠেছে অধরে

নর্দমাটির

পাথুরে শরীর জুড়ে হাজার বছরের ফসিল,
আকাশের, আশ্বিনের ধানক্ষেতের
পরিযায়ী নীল নীড়ের
দোকানে
চর্য্যাপদের
পোড়া চামড়ার লাইন। বিষ্যুদবারে

নি:শব্দ নিশীথে মিশ্র
কাফিতে

হাটবার। মহামারি মহুয়া আর চিকেন তন্দুরি।।

Facebook Comments

Leave a Reply