সুদীপ চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা

দেহপুরাণ

ছায়া, উভচর। কে তাকে লেহন করে
টেনে আনে দেহের ভিতর
নামানো বিরাম-মুখ, ওপরে আকাশ-
যতেক শ্রাবণ ওড়ে, উড়িছে আকাল
দেখি ঠোঁট, দেখি ভুরু, দেখিনু কপল
রমণজিহ্বা তার, পল অনুপল
অরূপ ব্যাদান দিয়া প্রবেশিলা কায়া
হেন বাক্য, হেন কূট, বলিছে বেহায়া
আমাকে অনঙ্গ কর, লও মান, কুল
আপন অন্দরে আমি রচি গর্ভফুল

দৃশ্যটিকা, ঈষৎ গুলঞ্চময়, কপালে তোমার
দেহবাদ্য, তদুপরি আছিল ভ্রমর
এখন কী হবে বলো
বলো আজ যোনিফল্গু ধারাবে কোথায়
পরম আগুন এসে শিশ্ন ধরে খায়

রতিলা নগর, তাতে দেহপসারিনি
একে পাপ দুইয়ে মৃত্যু তিনে সঞ্জীবনী

শ্রাবণ দেহজ ঋতু, জাগে আচম্বিতে
পেতেছি শরীরপাত্র ধারাবারি নিতে

বয়স জটিল ফুল, পাপড়ি মনোহর
বসেছ কমলে যেই, মৃত্যুর প্রহর
গুঁড়ি মেরে ঘিরে ফেলে-নাছোড় শিকারি
সুধাভাণ্ডে মক্ষী হেন বাহিরিতে নারি

শব্দ মন, শব্দ তনু শব্দ উজাগর
ষড়ঋতু চক্রাকার শব্দের ভিতর

Facebook Comments

Leave a Reply