শাহরিয়ার সোহেল চৌধুরী-র কবিতা
দহন ও দ্রোহের অনুকাব্য
১.
কতিপয় অক্ষর শেখাবে?
খড়কুটোর ধোঁয়া ওঠা উনুনে
ভাপউঠা ভাতের স্বরবর্ণে,
কাঁচা লঙ্কার ব্যঞ্জনবর্ণের স্বাদে
ইচ্ছেমতো প্রথম পাঠের ব্যাকরণে!
২.
জুড়ানো নয় একেবারে ভাপ উঠা ভাতের স্বাদ চাই।
নইলে ভাত পচিয়ে মাতাল হতে দাও।
মাতাল হয়ে রাষ্ট্রনীতি দিয়ে ভূগোল ভিজিয়ে খাবো!
৩.
সৈনিকের হুলে ঘুম পাড়ানিয়া
‘অদৃষ্ট’ কিনেছে রানী উৎপাতে,
‘বিপ্লব’ গল্পটা ভুলের মাশুল
বিক্রি হয়েছে বহু আগে বা গতরাতে!
৪.
আপন উনুনে পোড়াই আঁধার
প্রকোষ্ঠে জ্বালাই চিতা,
ছাই প্রলেপে আঁকি জাতিস্মর
ক্ষমা করো হে পিতা!
৫.
আমি পোড়ার গন্ধ পাই।
হৃদয়ে আউরানো কবিতা পোড়ার ঘ্রাণ।
সে কি এসব টের পায়?
যে গোলাপজলে মিশিয়ে বিকোয়
আমার কবিতা, প্রেয়সীর অপারগতা,
অগুনিত মানুষের মুখ
কিংবা মানচিত্রের অকপটতা।
ছাইভস্মের সুবাসে তোমাকে তাড়াবো হে গন্ধবণিক!
৬.
নৈঃশ্বব্দের ভাষায় আমি
‘মানচিত্র’কে প্রশ্ন করছি!
তুমি কে? কোথা হতে এসেছো?
কোথায় তোমার ইতি?
৭.
আরেকবার বেসামাল মিছিল হোক বন্ধু।
রোদপোড়া পিচের ঘ্রাণে আরেকবার চলো ‘মানুষ’ খুঁজি!
Posted in: August 2020, POETRY