রিমি দে-র কবিতা

ভ্রমণ

এক

তেমন কিছু কুড়িয়ে রাখা হয়নি। আসলে দ্বিতীয় আগ্রহ তৈরি না হলে ভাণ্ডার গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয় না। গলে পড়ার মতো করে জীবনের খণ্ডাংশগুলো হারিয়ে যায়। দেওয়ালে হাত পড়লেই পলেস্তরা খসে পড়ে। ভান্ডতে কিছু শিশিরবিন্দুর টুপটাপ শব্দ হতেই হারিয়ে যাওয়া খন্ডাংশগুলোর পরিস্ফুরণ ঘটে যায়। প্রবাহের পর প্রবাহ এসে একটি মগ্নতাকে
জললগ্ন করে

ছায়া তার ছবিকে জড়াতে থাকে প্রলম্বিত আলোয়…

দুই

কুড়িয়ে নেবার মত করে যে উল্লাসগুলি জমা হচ্ছিল
সেসব শূন্যরা মন্ত্রমুগ্ধর মতো পাতার আড়াল খোঁজে,
ভরে উঠবার পর ভোর ভোর ছায়া তার ভরপুর কোণ
খোঁজে, এতটা অজানার পরও আমি সীমান্ত অবধি
এঁকে ফেলি দুর্দশার মিহি রঙ।

শূন্য পরবর্তী জানালার ধার ঘেঁষে কিছুটা কর্কশ
তবু দোলা দিয়ে যায়!

তিন

ভেতরে ভেতরে জগতটি জটিল হয়ে উঠছে

বরফটি খাদের কাছে চলে এলেও উত্তাপ বাড়ে না
বেড়ে ওঠা গাছটি কাঁধের কাছে নিশ্বাস মেলে ধরলেও
প্রতিটি গান দানা বাঁধবার আগেই ভেঙে চুরমার
সূর্যাস্ত ডাউনলোড করে এঁকে ফেলছে হাহাকার তবুও

বারবার পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে একটি অসমাপ্ত নদী
পাড় ভাঙতে থাকে…

ক্রমশ রঙ বদলাতে থাকে অন্তরমহল!

Facebook Comments

Posted in: August 2020, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply