প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা
খেলা যখন
আয়োজন এবং কৃষ্ণচূড়া। সাধ হইল, একাধারে দেখিব, হোমানলের আলোয়। ভুল হইবে? কত তো কত ভাবে পথে রাখিয়াছে ছায়া! আমি কেবল অনন্ত এক সরীসৃপ, কিছু ব্যথা এবং এই জন্মকে রাখিব। অধিক কিছু নহে, চর্যাপদের শোকের সহিত গত দিনের মনিদিকে রাখিব। একা ছাদের কোনায় নরমের সহিত কঠিন আঁকিব। তেঁতুলপাতার ওপারে লাল এবং শ্রম একটা একটা রাখিয়া যাইব। অধুনান্তিক বিকাল যোগ করিব না। কেবল সেই যে পথ, ভাঙাচোরা, তৎপর, অন্ধত্ব, সবটুকু রাখিতে রাখিতে সন্ধ্যা আসিবে। আমি দেখিব। অতিরিক্ত হইবে এই সামান্যে!
নিরপেক্ষ
আমি দেখিয়াছি। হাস্যকর। কে দেখিয়াছে! আমি। সে কোন অবতলে? ঈষৎ বিকাল। মধুময়। হলুদ পুষ্প হইতে দ্বিধাপূর্ণ জল। আমি দেখিয়াছি। পাগলে তো পূর্ণ ছিল দ্বিতল। ক্ষুধা তাহাকে, তাহাদের আচ্ছন্ন করিয়াছে। আমাকেও। এইরূপ হইবে? এই ক্রিয়াপদের একাল সেকাল! কিন্তু ওই আর্তনাদ নিরপেক্ষ। আমি দুইটি সুপক্ক লোভ দেখিতেছিলাম। তোমাকেও। তোমার ওই শুভ্র সম্ভাবনা। আহ্বান। আঁচলে কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না। সিঁড়ি ছিল। উঠিতেছিলাম। আমি। অপরাহ্ন আসিয়া দুয়ারে। কী অপূর্ব কায়া!
Posted in: August 2020, POETRY