মামুন মেহমুদ-র কবিতা
বাস ঘুম প্রলাপ
যে গেছে তার সাঝফুল ঋতু মেনে কেনো আসে?
আর আসে বলেই ছাত থেকে খসে পড়তে হবে বউ-বউ-গন্ধ!
ভাউতাবাজ প্রেম কোথাকার!
তার কী যে ভয়াবহ জেদ-
এক পথে লেড আর লিথিয়াম মধু-টধু বায়না করে
আর অন্য পথে কাপড়গাঁটখোলা পুতুল আর মিউ-মিউ বেড়াল-
খেলতে খেলতে গোল হয়ে যায়
ও মধু, তোমার দুধদাঁত ফেলে খাওয়ার কিছু নেই?
আহা ইঁদুরের কপালে দাঁতের মর্যাদা রাখতে আছে?
কেউ চাঁদের টিপ পরে ধরে আগুনে ঝলসানো মাছ-
মচমচে আলু আর আগের মতোই ধর্ষণ
মেয়েদের খায় আর লাল শাড়ি জড়িয়ে
পাতে তুলে করে জামাইর আদর
হারামজাদা কতোবার চুরি করবো না বলে পুকুর ডাকাতি করেছিস?
নবাবমার্কা জুতোর কালি ঘষেঘষে ফকিন্নিজুতোর ছাল আর চেনার জুত নেই
আর এরমধ্যে কী সহজে পুং-মধ্যপ্রাচ্য পোষ মানিয়ে নিলো বাংলাপাড়ায়
কেউ দেখোছো বোরখাছাড়া?
বোরখার অর্ডারের সাথে জাঙ্গিয়ার হিসাব দর্জি কেনো কষবে?
ব্যক্তিগত ব্যাপার?
সাবধান বুকের বোঁটায় আমি দাঁত দিইনি
তবু ওটা কার লকেট ঝুলে গেছে তলপেট ধরে?
ওমা, এতো গরীব কেনো তোমাদের বরেরা?
যারা ওপাড়ায় উরুর আগুনে ঠিকই ওয়াইন ঢেলে খায়
বলে দিলেই মুখ পাতলা নইলে মুখে পান গুঁজে
ঠিক সুবিধে পড়িয়ে নিতে পারো
কিন্তু… দাদি বলতেন- পান খাবিনে ঠোঁট ভারী হলি পড়া হবি না-নে
আর তারপর থেকে ঝর্ণা চিনতে গিয়ে এতো উপরে উঠে গেছে পাহাড়-
সত্যি বলছি বাপ, নামতে পেলে আল্লার কসম…..
এতো ভারী নিচে নামতে পারে না- ‘শরীর আটকে গেলি কেনো? পড়!’
উপরে এতো খাদ! কবি খেদ ঢাকতে নাগরিক কবিতা লেখেন
শব্দ দাউদাউ ফানুসের নিচে তুলো হয়ে পোড়ে
চেয়ে দেখি আকাশ আরও বাকি
তুমি সুন্দর নও বলেই বলছি- ওয়েস্টার্ন কালচারে দেখো না?
আসো শুয়ে আরাম পাই
ঘুম ভেঙেছে বাপু? ভাড়া কই?
‘হাফপাস নেই’-
পকেটে বাড়া বাংলা নোট আছে?
হাফ পাস নেই!
এংরেজি জানো না?
কেটে পড়, আবাল কোথাকার!
শেষ বিকেলের গান
জানালা ভেজানো থাক। চিরচেনা পথে
ইশারা খুঁজো না আর বরষা-লাগোয়া
যতনে সাজাও গৃহ নিজ তবিয়তে
আমিও আষাঢ় নই। ভীষণ ঘরোয়া!
স্বামীর সোহাগে পেতে নামাযের পাটি
গুছিয়ে ফযর থেকে মেয়ের রুটিন
কদুর বাসনাতেলে সেজো পরিপাটি
বাক্সের ভেতরে রেখো চিঠি-রাঙা দিন।
ঋতাজ! জবার বৃন্তে অতীত ধূসর
আমাদের বাইপাসে ফুটলে কখনো
ফিরবার রইবে না কিছুই লুকোনো
গাইবার গুনগুনে দেখবে কী জ্বর!
আমাদের ঘরগুলো মনের ভেতর
কতোটা উদোম তার না-হোক খবর!
পুতুল-পুতুল খেলা
.
মেঘ-ফোটা আসমানে বিধবাপ্রহর!
তা থেকে ধূসর পেড়ে আহারে, অশ্রুত-
চোখে বরষার কাল- খেলতে শহর
বিজন ভোরের গায়ে লিখছে আহত!
রাত খেয়ে দূরে ওই ডাকছে সঙিন-
ঘরপোষা কালো চিল! শিরোনাম হয়ে-
বাতাসে খবর দেখি ভাসছে রঙিন
‘উড়ছে স্বামীর খুন বিধবা ঘনায়ে’!
ঋতাজ, তোমার ভারি চাঙা উপকূল
কাঞ্জনরূপের ঘাট না-রাখো হেলায়
শাদা বেলি কিম্বা থান শরীরে খোঁপায়
পরিয়ে সকল খুকি খেলছে পুতুল।
পুতুল পুতুল খেলা, গীতল পৃথিবী-
আঁকছে স্বামীর খুনে বিধবার ছবি।
বিবাসন
হোক অমা কিম্বা জোছনা
অবৈধ বসন্তের হিড়িক মিথুন হাওয়ায়
পল্লবকালে রাহেলাদের পলাশবনে
মান্দারকাঁটা আর পাণ্ডুশীত
গল্পের দেশ বলি কারণ আড়তে গুম
গমের ক্ষেতে ফিঙের দৌড়াত্ম্যে
ঘুঘুগুলো অমীমাংসিত সীমান্ত;
জবরদস্তির রেহেলের ছায়ায়
সাঁতারের পাঠ শেখায় ডোবা যোনি
নাবিক এমন নাজুক
ঝড়ের আগেই ভেঙে পড়ে তুমুল!
ভালো থাকতে পাবার নিরিখে
ভালো আছে কেবল বিবাসন
চলো থেকে যাই দূরে।
Posted in: August 2020, POETRY
অবসর সময় তোঁমাদের লেখা কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লাগছে বেশ … মামুন, তোমার লেখায় হয়তো অনেক শব্দ ও শব্দ বন্ধের অর্থ আমাথজানা নেই … হয়তো বোঝার কিছু ফাঁক থেকে গ্যালো … তাও মন টানের ভাবনায় ভালো লেগেছে … ভবিষ্যতে আরো এই রকম লেখা পড়তে পারবো এই আশায় রইলাম …
‘তোমাদের লেখা কবিতা’ হবে … কেন যে চন্দ্রবিন্দু এসে যায় বুঝি না …