অরিত্র চ্যাটার্জি-র কবিতা

প্রজাপতি প্রভাব

হেডিসের
সামান্য তুড়িতে
কেঁপে ওঠে ভিসুভিয়াস
তার উদ্‌গীর্ণ ছাইবাষ্পে লাভায়
মুছে গেল পম্পেই আর হারকিউলিয়ন
প্লিনির বিবরণে এবিষয়ে অবশ্য লেখা আছে
মৃতের হিসেব বিশহাজার, অথচ কি অবলীলায় বললাম!

আলোকবর্ষ দূরে জলপাই নক্ষত্রের গ্রহে একে একে খসে পড়ে
বিজাতীয় পাতারা। প্রায় নৈঃশব্দিক সে’সব অস্থিরতার ঘোরে বেপথু
এক পার্থিব যুবকের ফিরতিপথ কখন ঘরের অভিমুখ হতে চিরতরে
বেঁকে গিয়েছে তার খবর আমরা রাখিনি…

এই রেখা, এই তীরবিন্দু অনিশ্চয়তার প্রতি ফেরানো যার মুখ
একমুখীন এই নির্দেশিত দিক বরাবর পাবে উৎক্রমণ,
ক্রমবর্ধমান এনট্রপির নিচে চাপা পড়ে থাকা পুঞ্জীভূত সময়
আমাদের আপাত অপরিবর্তনীয় ভবিষ্যৎ
অথচ
যা
আদতে ভঙ্গুর
সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারত
প্রাগৈতিহাসিক কোন পতঙ্গের অসময়োচিত ডানার ঝাপটে

মানে আমি জাস্ট ঘুমোচ্ছিলাম
আর স্বপ্নে নানা মজাদার কাণ্ডকারখানা ঘটছিল
একটা ধনকুবের ও সাপ আমাকে নিয়ে বাজি রেখেছিল
আর আমি ঘুমোচ্ছিলাম, স্বপ্নের ভিতরে
আমার জীবন ওদের এই খেলার ওপর
নির্ভর করছে
যেন এরকম উত্তেজক ঘটনা বহুদিন ঘটেনি
আমিও উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছি
হয়ত ভেগাস ঘুরে আসব
বা জেনে যাব সাপের বিষে কি তুমুল নেশা হয়
ঈশ্বর,
এর শেষ দেখার আগেই
এখন আমায় যেন না ডেকে ফেলে
ম্যাড়মেড়ে দুপুরের কোন বেরসিক এজেন্টের দল

Facebook Comments

Leave a Reply