এ কে এম আব্দুল্লাহ-র কবিতা
জীবনটায়ার
অতপর— পাংচার হয়ে গেলে জীবনটায়ার; এক জরাজীর্ণ রাস্তায় আমাদের দৃষ্টি থেকে নেমে আসে স্বেদ্ধপেরেক। আর সন্ধ্যাকালীন আকাশ থেমে গেলে রাতের শরীরে; আমারা সেই পেরেক গেঁথে দিই বেডরুমের দেয়ালে।
এরপর, দেয়াল ভেঙে যখন ভেসে আসে কানে আধভাঙা কন্ঠস্বর— আকাশটা নেমে আসে নিচে। আর গলা ভেঙে বেরিয়ে আসে— সময়ের সদকায় জীবনটা আরো দীর্ঘ হোক।
এভাবে জীবনের বাঁকে এঁকে দিয়ে হলুদ রং বক্সজাংশন; আমরা ঢুকে পড়ি ট্রাফিক সিগন্যালের লালের ভেতর।
আর, এভাবে গাড়ির বেপরোয়া টায়ার থেকে বেরিয়ে আসা অসুস্থতায়— কাটিয়ে দিই বাকিটা দু:সময়।
অস্তিত্বের স্ক্যাচ
এখানে পড়ে আছে অস্তিত্বের লাশ। আর আঙুলের ডগায় মিলিয়ে গেলে প্রাচীন সময়— চোখ থেকে নেমে আসে তেজষ্ক্রিয়তার নদী। ঠোঁটের লালায় জমাট করে জলের গুদা— আঙুলে ভর করে আমরা হাঁটি কাচের পথে।
এরপর; বহুযুগ কি ভেসে আসবে কানে নাঙা চরণের শিস? প্রশ্নটা মাথায় এলে, পৃথবী ঢুকে পড়ে হাইস্পিড ট্রেনের ভেতর। রাতের অন্ধকার ফোঁড়ে আমাদের ট্রেন এগিয়ে চলে।
আর আমরা অন্ধকারের ভাঙা টুকরোয় খুঁজতে থাকি অস্তিত্বের স্ক্যাচ।
সময় এবং…
কিশোরী পৃথিবী যখন প্রথম অন্তর্বাস খুলে রাখে সাগর পাড়ে; কেঁপে উঠেছিল মাছের দেহ। আর, তার স্ট্র্যাপে দৃষ্টি ঘষে মাতাল হলে আমাদের আকাশ; স্যাটালাইটের বাকলে প্রদর্শিত হয় অ্যালিয়েনের প্রসব চিত্র।
এইসব দৃশ্য দেখে দেখে আমাদের মাথা সাইকেলের চাকার মতো ঘুরে। আর আমরা বগলে চেপে ধরে বাঁশের চাঙারি, এখন ওজন করছি পৃথিবীর উত্তাপ।
Posted in: August 2020, POETRY