শৌনক দত্ত-র কবিতা

বাজেয়াপ্ত চোখ চশমায় জাগে

এমন আন্তরিক শূন্যতার কোলাহল থেকে… মনখারাপে খুব ঘুরি… যেন প্রত্নতাত্ত্বিক মৃত্যুর পৃথিবী। আমাদের সংসার খোদাই শিলালিপি থেকে হারিয়ে যাওয়া শব্দের মতন। এক একটা দিন অন্ধ লোভাতুর নখ নিয়ে আমার পাশে শুয়ে থাকে।গায়ের গন্ধে আমার বমি পায়।

মাকড়সার যাত্রা পথ… সেখানে আমি শীতকালের আলপনা রাখি। আর রাত হলেই চারুকলা শিখি।

শরীরে হাট ভাঙা ক্লান্তি । সন্ধ্যা ঝরে যাচ্ছে, বালিশে বাজেয়াপ্ত চোখ… চশমায় জাগে।

নগরের মিথ

বৃষ্টিকানা নগর
তেষ্টার সাগর পার হবে বলে আজও বসে আছে
নদী এক অবিশ্বাস্য ঘোর।
জোয়ার পাখির ডাক।

কবেকার এক আলুথালু সকাল মেখে বসে থাকি।
পলকে পৌরাণিক ধৃতরাষ্ট্র।
হৃদয়ে মহাভারত।

তখন দ্রৌপদীর ঝুলে থাকা
অভিমানটুকু জড়িয়ে ধরে কর্ণ
কর্ণাল রাজ্য জুড়ে মীনাক্ষী শোক।

হে নগর
চেয়ে দেখো
শরতের ঋতুকাল ধরে, জেগে উঠছে বেদনা প্লাবন।

পিপাসিত চন্ডীদাস আর বিলাপে রজকিনি।

বিবাহ বার্ষিকী

দেয়ালে দাম্পত্য ঝুলে আছে
আস্তো একটি পদ্মপুরাণ লেপ্টে নিয়ে গোপনে।
ফিউশনে গচ্ছিত নতুন রূপকথা
ঘামসূত্র স্বপনে অনেকগুলো আকাশ ডানা মেলে দেয়।

শেষ পর্যন্ত যে নদী হারায়েছে উপকথা ভোর
আমরা সেই নদী কথায় লিখি।

মুঠোতে বিবাহ দিন মেখে।
শুভদৃষ্টির পরিক্রমায় গুঁজে রাখি দিনলিপি
অবিবাহিত ছায়ায় দ্বৈতরোদ।

সুখদিন একটি খামার খুঁটে খায়
নিজের আমি কে ভাসিয়ে
অচেনা মানুষ একাকার।
বারবার দুটি ছায়া মিশে গিয়ে উপমা খোঁজে
অজস্র বিজোড় ছায়া বন্দরে,আমাদের
সময় বয়ে যায় মৃদু।

গলায় বিলুপ্ত ব্যবিলন।

Facebook Comments

Posted in: July 2020, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply