শানু চৌধুরী-‘র কবিতা

প্রাচীন ভারতের গণিকা কবিতা

রাজবেশ্যা :

যে ছায়া গভীর, তার দিকে একটুকরো অর্থশাস্ত্র।
যা খুলে নিলে কৌটিল্য দেখা দেয়!
এসমস্ত তাবড় হয়ে যাবে গণিকা আড়ালে, তোমার উল্লাস থেকে ফেটে পড়বে স্বচ্ছল জাতক।
এত তন্ময় হল! তবু নর্তকী কামড়াতে পারেনি আপেল।
আপেল একটা নাচ হোক।
রাজসভার আলেয়ায় তার হোক পিপাসু টইটুম্বুর,
তবু নৃপতির ছাল টোকা মারে গতিবিধির দিকে… ছিঁড়ে নেয় নারী-গুপ্তচর ও সজল দূরবীন।
সাক্ষাৎ টাঙালে যে মেহমান হয়েছিল ষোল সহস্র নাচের মুদ্রা,
তার একটা কলি সম্পদ হতে পারে। হতে পারে উপভোগ্যা?
তবু আঁচড় খাই। মধু খুলে পরবশ করি রাত্রিকাল।
ছোবলে মাধবীর চাঁচাছোলা বুকে যে ক্ষত হয় তা রাজার স্পর্শ ও বীর্যের তামাম।

নগরবেশ্যা :

কাপড়ের আচল সুগন্ধি হলে,নগরের বুকে শুয়ে থাকে গণিকার ঘর-বাড়ি।
তুমি টাঙানো লিঙ্গ নিয়ে খাবি খাও আর অনুষ্ঠানের পোশাকে ঢুকে দ্যাখো আশ্চর্য মুদ্রারাক্ষস!
এইতো বসন্তসেনা, কলাবতী নগরবেশ্যা হল।
আর ঝিনুকের মাথা থেকে টপটপিয়ে পড়লো আমন্ত্রিত জল।
ওই যে রতিরহস্য যত মণিময় হল তত ঐশ্বর্যের পেছনে বারনারী কেটে ফ্যালে ডানার সাক্ষ্য!
তোমরা জানো ক্রীড়া-পীঠিকার আগুন, কয়লা ভাঙলে ম্রিয়মান হয়।
এ তবে বিদ্যা হোক। ধ্বনির ভিতরে জমুক সহস্রাব্দ ক্ষীর!
আর চরম ঐশ্বর্য থেকে খোলা হোক জীবনের মৃচ্ছকটিক।

গুপ্তবেশ্যা :

নারী পারিবারিক হলে দেহ থেকে বিক্রি হতে পারে ব্যবসা।
মত্ততা! এ ও এক ভিক্ষাপাত্র।
যার উদ্যানে বিহার লেগে থাকে।
পুরস্ত্রীব, রাত ভেঙে গেলে তরুণীরা পূর্ণিমা আঁকে আর জায়াজীব নট থেকে খুলে নেয় অভিধানরত্নমালা।
স্ত্রীর আলো ভরা দুধ খুলে দ্যায় নটের অন্ন।
তবে কি পাপ ছিটকে আসছে? হে আমাদের রতিরহস্যঅন্নজল।
আমাদের অঙ্গারে কুন্ঠাবোধ নেই! সমর্থনের দোলায় দ্যাখো উপপতির জানালা।
যেখানে ঢুকে যায় রেশমী ওড়নার আবৃত ধার।

দেববেশ্যা :

দেবতার বিগ্রহে ছেড়ে এসেছে জোয়ার।
হে মেধাতিথি ও শিলালিখন! চিত্রলেখার শরীরে দেখি বায়ালার লিপিস্তম্ভ…
পূর্ব-সিন্ধুর এক নগরে সূর্যের অস্তিত্ব দেখা গেছিল।
যেখানে মেঘের সংকল্পে ছিল দাক্ষিণাত্যের হাওয়া…
এতো বাহ্যদৃষ্টি! চিবুক থেকে টুকরো হয়েছিল দেবভোগ্যার আড়াল
অথচ প্রকট আলেয়ায় অপ্সরী-বৃত্তির মাঝে দেখি পুজারীর আসঙ্গলিপ্সার উৎকর্ষতা।

Facebook Comments

Leave a Reply