রামকিশোর ভট্টাচার্য-র কবিতা

fail

কর্কট কাল

ইনফেশন ইনফেশন

বলার কিছুই ছিলনা, তবু ফুরফুরে বারান্দার সঙ্গে
ভাবনাদের দোপাট্টা বদলের ইচ্ছে নিয়ে
কিছু লুকোচুপি হল। এখানেই তৃপ্তিসুখের উপসংহার।
ভাঁজে ভাঁজে খেলা হল ক্রসিংবারের কাছে। নিদানকালে
সাদাকালোর মিহি আলাপ ভিজিয়ে দিলো বারুদ গন্ধের
গোঁসাকেও। বারবার এভাবেই গোঁসার রং বদলে যায়–
বোঝার আগেই। ঘুম ঘুম আগুনের পাশেই ছড়িয়ে যায়
টাইমপাস ছন্দের দল। তবু স্তাবকের কত দেমাক
আষ্টেপৃষ্টে থাকে এপাড়া ওপাড়ায়। সমস্তদিন কত টাকার
অপমৃত্যু হয়। টাকারা মারা গেলে কিভাবে শান্ত রাখি
ছেঁড়া চাটাইয়ের তেলচিটে হিসেব! ভূগোল বদলের কত
গোপন কারুকাজ লুকিয়ে বেড়ায় ভিতরে ভিতরে।
দেখে পাশ ফিরে উড়িয়ে দিই পোষা পাখিদের।
চারপাশে শীর্ষ লাফায় নির্লজ্জ ভাবে। ভাব আমাদের
মতিগতি। সেই গতিতালে ইনফেশন ইনফেশন বলে
সময় কাটাই দাঁড়ি কমা পেরেকগুচ্ছের পাশে…

কয়েকটা শিহরণ

শরীর থেকে ঝরে পড়ে কাদামাটি। চ্যাটচ্যাটে মুদ্রাদোষে
অচল মুদ্রাদের কাজ শুরু হয় এখানেই। বর্ষিয়ান রাজপথেরা
সেই সব কাদা আর মাটিদের সঙ্গে শুরু করে সওয়াল জবাব।
চারপাশে কত বিশ্বাসফল গড়াগড়ি খায়। ঢাকনা খুল্লেই
কত বদান্যতার গন্ধ ছড়িয়ে যায় পাড়াঘরের ব্যস্ত সময়ে।
মিথ ছড়া্তে ছড়াতে ছুটে আসছে কয়েকটা শিহরণ, পিছন পিছন
অবন ঠাকুরের তুলি। যুগের ভিতরে মুখ ঢুকিয়ে বুড়ো আংলার দল
রাজনীতির মন্ত্র বলছে প্রতিদিন। ইমোশন কেউ শুনুক কিংবা না
ক্ষীরের পুতুল বসবে রাজ আসনে। পার্কে পার্কে ঈর্শায় জ্বলে যাবে
ঝালমুড়ি ফুচকার দল। বিছিয়ে রাখা এত সব চুলকানি নিয়ে
মুখ টিপে হাসছে চতুর কাঠবিড়ালিরা। অথচ কেউ দেখছেনা
শীর্ষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বালি বস্তাদের দিকে…

Facebook Comments

Leave a Reply