পবন বর্মন-র কবিতা
তুমি কেমন দরিদ্র
কুঁকড়ানো চুমুকের বা-পাশ দিয়ে নদী গলে যাচ্ছে
তুমি মাছরাঙা ধরে প্রেম করছো ছাতিমতলায়
মশাদের ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে
উড়িয়ে নিচ্ছো পিঁপড়াদের শাড়ির আঁচল
কেন ফ্রিজের ভিতরে হাতি কোলে করে
বসে থাকো চুপচাপ
বিছানার ঘুমগুলো, কোন টিভিতে পর্দায় রেখেছো ?
আমি বুঝতে পারিনা
তুমি কোন মাপের দরিদ্র
আবার যে শুনশান নাভির উফ্ খেয়ে ঝিমিয়ে পড়ছো
থিতিয়ে নিচ্ছো আলোর নরমে নিজের পরিসর
ট্রেনের বিরোধাভাস নিয়ে অপেক্ষা
ট্রেনের আলমারি ভারী হয়ে পড়ছে প্রতিক্ষায়
মতির পিছনে ঝলসে পড়ছে পাখির মন
হোক না ছাতুর বিকেলে কিছু যুগল
হুকখোলা পেরেকে পাতানো আছে ট্রেনের কপাল
স্টেশনের ভুরুতে পাতলা করে বসে আছে সখির এক দামি ফুল
কি নাম তার ?
সাম্য পেরিয়ে কি গড়াব তার পাশে
ভাবনা উঁচু করতে করতেই ফসকে গেল সে
তার ট্রেনে
আমার ট্রেনের বিরোধাভাস নিয়ে
আমি অপেক্ষা করছি অপেক্ষার
স্টেশন আচ্ছন্ন সুলভ শৈবাল নাছোড়ে
কে জানে সরল ওড়নায় ধরে যায় পিস্তলের হাসি
চোখের কোমরে শুধু অপেক্ষা গেঁথেদিয়ে চলে গেল মেয়েটি
প্রহর কাটানো লোকজন ছেড়েদিয়ে
ধরে নিয়ে গেছে আমার প্রিয় স্টেশন
উফ্ টহল বুনতে আর কত পাগল শেষ করবো, তা জানা নেই
হাত মুছার অহংকার
সেকি হাত মুছার অহংকার ছিল
এতবড়ো নারকেল রাতটাকে চশমায় গুছালে
যারা বর্ণের নদীতে ভেসে ভেসে মানুষ সেঁকে
তারা নিশ্চয় চশমা খুলতে নদী দেখে
শিলে ভাঙা নদীর ঝলক কতবার চটকানো
তারা অবশ্যই সেই জাত পকেটে করে ঘুরে না
খুলে পড়ে ফুটবল মাপছে মনের কপাট
ধীর হয়ে আসা শুভ-লক্ষণগুলি
গড়া-গড়ি পায় পাঁপড়ির রাতে
দিন বলতে ,সেকি শুধু হাত মুছার অহংকার ছিল